ওসমানীনগরে যানজটে দুর্ভোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ৫:৩৪:০১ অপরাহ্ন
ওসমানীনগর প্রতিনিধি: ওসমানীনগরের তাজপুর-মান্দারুকা-খাদিমপুর-নয়াবন্দর-জগন্নাথপুর এবং তাজপুর-ভাড়েরা-রাখালগঞ্জ-বিশ্বনাথ সড়কের মুখে তাজপুর বাজারস্থ স্কুল রোড অংশে সকাল দুপুর সন্ধ্যা দীর্ঘ যানজট লেগে থাকার কারণে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এলাকার হাজার হাজার যাত্রী সাধারণ ও স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। সড়কের মুখে টমটম, সিএনজি চালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড থাকার কারণে এবং বিভিন্ন সময় রাস্তায় পণ্য ডেলিভারী করতে আসা যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকলে যানজটের সৃষ্টি হয়। তখন রাস্তার দু’পাশে আটকে পড়ে অসংখ্য যানবাহন। যানজট শুরু হলে মাত্র কয়েকশ গজ রাস্তা পাড়ি দিতে দীর্ঘ সময় ব্যয় করতে হয় যাত্রী সাধারণ এবং পথচারীদের। সময়মতো ক্লাসে কিংবা পরীক্ষায় অংশ নিতে পরেন না এলাকার শিক্ষার্থীরা। মাত্র ১২ ফুট প্রস্থের এ রাস্তাটি প্রশস্ত না করলে প্রতিনিয়ত সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হবে এলাকাবাসিকে। তাই রাস্তাটি অচিরেই প্রশস্ত করার দাবী জানান স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকার সচেতন মহল।
জানা যায়, এই রাস্তা দিয়ে সিলেটের প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ মঙ্গলচন্ডী নিশিকান্ত সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, তাজপুর ডিগ্রী কলেজ, হাজি মো: নুর মিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, জালালিয়া আবাসিক মাদরাসা, মিনা বেগম দাখিল মাদরাসা, মোল্লাপাড়া আহমদিয়া দাখিল মাদরাসা, হযরত শাহ জালাল (র:) এতিমখানা, অক্সফোর্ড স্কুল, মর্ণিং বার্ড স্কুল, চাইল্ড ফেয়ার ইংলিশ মিডিয়াম জুনিয়র স্কুল, তাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, মঙ্গলচন্ডী বাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়, তাজপুর আল কোরআন মেমোরাইজিং একাডেমি, তাজপুর কদমতলা কওমি মাদরাসার হাজার হাজার শিক্ষার্থী প্রতিদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের দু’টি ইউনিয়ন ও বিশ^নাথ, জগন্নাথপুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের হাজার হাজার জনসাধারণ হাটবাজার, অফিস-আদালত, হাসপাতালে যাওয়া আসা করে থাকেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শুরু এবং বন্ধের সময় শিক্ষার্থী ও পথচারীদের চাপে রাস্তায় সব সময় যানজট লেগে যায়।
উপজেলার ব্যস্ততম হাট হচ্ছে তাজপুর বাজার ও গোয়ালাবাজার। দু’টি বাজারে এ অঞ্চলের হাজার হাজার ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের এই রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক থেকে তাজপুর স্কুল রোডে নামলেই যানজটের মুখে পড়তে হয় এসব লোকজনকে।
তাজপুর বাজারের স্কুল রোডের ব্যবসায়ী কাজী আজাদ, শহীদুল আজম ও বুলবুল ইসলাম জানান, এ রাস্তায় প্রায়ই যানজট লেগে থাকে। যানজটের কারণে আমাদের ক্রেতারা কম আসে। সিএনজি অটোরিক্সা ও টমটম ওয়াপদা মাঠ সংলগ্ন হাওলি নামক স্থানে নিলে এবং রাস্তা বড় করলে যানজট কমবে। প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণে রাস্তাটিতে মাত্র ১২ ফুট রয়েছে। ফুটপাত, ড্রেনসহ রাস্তাটি ২৪ ফুট প্রশস্ত করা দরকার। রাস্তার মুখে ট্রাফিক পুলিশ থাকায় দূর থেকে আসা যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকে। যানজট নিরসনে রাস্তা বড় করার পাশাপাশি টমটম, অটোরিকশা এবং ট্রাফিক পুলিশ সরানো প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম আহমদ বলেন, ইতোপূর্বে তাজপুর স্কুল রোডের যানজট নিরসনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে আমরা একটি উদ্যোগ নিয়েছিলাম। সিদ্ধান্ত হয়েছিল, রাস্তার দুই সাইড ভাঙ্গা হবে, টমটম এবং সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড ওয়াপদা মাঠ সংলগ্ন স্থানে যাবে। বিভিন্ন কারণে এটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। সামনে জাতীয় নির্বাচন, নির্বাচন শেষে এটা বাস্তবায়ন করা হবে।