নগরে পৃথক ২ লাশ উদ্ধার
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ৮:৫৮:০৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : নগরীর মদিনা মার্কেট ও শাহপরান এলাকায় পৃথক দুটি বাসা থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে রোববার দিবাগত রাতে মদিনা মার্কেট থেকে কলেজ গৃহবধূ ও সোমবার সকালে শাহপরান থেকে এক পুরুষের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দুজনই আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে মদিনা মার্কেটের পনিটুলার ব্লক-এ এর ৩১/১নং বাসা থেকে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত জলি রাণী চন্দ (২১) গৌরমোহন চন্দের মেয়ে। তিনি বিবাহিত ছিলেন। তার স্বামী প্রবাসী। পারিবারিক কলহের জের ধরে জলি রাণী শোবার কক্ষের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এসএমপির জালালাবাদ থানার ওসি সাইফুল আলম জানান, রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে জলি রাণীর পরিবারের সদস্যরা আত্মহত্যার বিষয়টি বুঝতে পেরে তার ঘরের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত দেহটি মাটিতে নামান। পরে খবর দিলে রাত ১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
ওসি বলেন- জলি এমসি কলেজে পড়ালেখা করতেন। প্রায় এক বছর আগে তার বিয়ে হয়। স্বামী প্রবাসে থাকেন। আত্মহত্যার বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে নগরীর শাহপরান থানাধীন চকগ্রাম থেকে এক পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালের দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান শাহপরান থানার ওসি মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী।
মৃত মো. কবির মিয়া (৪৫) জকিগঞ্জ থানার পিলাকান্দী এলাকার মৃত কোরমান আলীর ছেলে। তিনি শাহপরানের চকগ্রামের সোহেল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের ভিত্তি করে আমরা তদন্ত করে দেখবো।স্থানীয়রা জানান, ভোর রাতে বাসার পাশের পরিত্যক্ত বাউন্ডারির রডের মধ্যে ট্রাউজার দিয়ে গলায় ফাস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন কবির। তার স্ত্রী এক বছর আগে তাকে রেখে বাড়ি চলে যায়। এরপর থেকে তিনি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। আশেপাশের লোকজনের কাছ থেকে প্রায় সময় মাফ করে দেওয়ার জন্য বলে বলে বিদায় নিতেন বলে স্থানীয়রা জানান।