সিলেটে বিভাগীয় চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির কর্মশালা অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ৭:৫৪:৩৩ অপরাহ্ন
সিলেটে বিভাগীয় চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটি অধিকতর কার্যকর এবং জব্দকৃত মালামাল সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে সুনির্দিষ্ট টার্মস অব রেফারেন্স (ঞঙজ) প্রস্তুত সংক্রান্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের আয়োজনে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসি।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি সিলেট রেঞ্জ শাহ মিজান শাফিউর রহমান, বিপিএম (বার), পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো: জোবায়েদুর রহমান পিপিএম সেবা। উক্ত কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সিলেট সেক্টর কমান্ডার কর্নেল জি এইচ এম সেলিম হাসান, বিজিবিএম, পিএসসি, জি+ এবং কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট সিলেটের অতিরিক্ত কমিশনার মুহাম্মদ রাশেদুল আলম। এছাড়াও এ কর্মশালায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোঃ জসিম উদ্দিন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ও পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মোঃ আসিব আহসান, জেলা প্রশাসক সিলেট, বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী অফিসার, বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জগণ, আনসার, র্যাব, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা, রাজস্ব কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা ও সিলেটের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রবন্ধ উপস্থাপনায় (বিজিবি) সিলেট সেক্টর কমান্ডার কর্নেল জি এইচ এম সেলিম হাসান সীমান্ত এলাকায় বিজিবি কিভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে, সিলেট এলাকায় চোরাচালানের গতিপ্রকৃতি, অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলন, কয়লা চোরাচালান, বর্ডার হাট, চোরাচালানের মালামাল জমা ও নিষ্পত্তি, মাদকদ্রব্য জমা ও নিষ্পত্তির চ্যালেঞ্জসমূহ এবং চোরাচালান সম্পর্কিত আঞ্চলিক টাস্কফোর্সের সভার বিভিন্ন সুপারিশসহ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট সিলেটের অতিরিক্ত কমিশনার তাঁর প্রবন্ধ উপস্থাপনায় কাস্টমসের সাথে সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক আইনসমূহ, আটককৃত পণ্যের শ্রেণি বিভাগ, আটককৃত পণ্যের নিলামের ব্যবস্থা, পণ্যের দাম নির্ধারণ ও নিস্পত্তি, নিলাম কমিটি গঠন ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এছাড়াও সিলেট অঞ্চলের জন্য কাস্টমস এর চ্যালেঞ্জসমূহ এবং চোরাচালান প্রতিরোধে বর্তমান সমস্যাসমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা টাস্কফোর্সের অভিযান বৃদ্ধি করা, প্রতি মাসে চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভা আয়োজন করা, চোরাচালানের মামলাগুলো দ্রুত সময়ে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা, সীমান্ত এলাকায় উন্নত যোগাযোগের ব্যবস্থা করা, প্রতিটি জেলাতে ডাম্পিং ইয়ার্ডের ব্যবস্থা করা, জনগণকে চোরাচালানের কুফল সম্পর্কে অবিহিতকরণসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরামর্শ ও অনুরোধ জানান। বিজ্ঞপ্তি