ফুটপাতে বিপজ্জনক শেড
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:০০:৫০ অপরাহ্ন
নির্বাচনের আগে ফুটপাত নিয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই : সিসিক প্রধান প্রকৌশলী
মুনশী ইকবাল:
নগরীর ফুটপাতের সাথে লাগুয়া দোকানগুলোর বাড়তি শেড পথচারীর জন্য বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে নির্বিকার সিটি করপোরেশন। নগরের বিভিন্ন সড়কে দেখা গেছে দোকানের সামনের ফুটপাতের উপর কেউ টিনের শিট ও লোহার দণ্ড দিয়ে স্থায়ীভাবে আবার অনেকে বাঁশের খুঁটি দিয়ে থ্রিপল দিয়ে শেড তৈরি করছেন। এসব শেডের নিচে তারা বিভিন্ন জিনিসপত্র লটকে রাখেন। লটকে রাখা এসব জিনিসের জন্য পথচারীরা প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হতে দেখা যায়। ফুটপাত দিয়ে যারা হাঁটের তারা এসব জিনিসে মাথায় আঘাত লেগে অনেকেই আহত হন। মাথার উপরে থাকায় যারা নিচের দিকে চেয়ে হাঁটেন বা অন্যদিকে তাকিয়ে এসব দোকানের সামনের ফুটপাত অতিক্রম করেন তারাই সবচেয়ে বেশি দুঘটনার শিকার হন। এছাড়া এসবের কারণে পথাচারীরা ফুটপাত এড়িয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন।
নগরীর জিন্দাবাজারের পাঁচপিরের মাজারের সামনে থেকে এই সারিতে বেশ কয়েকটি দোকানে এরকম শেড দেখা গেছে। তাছাড়া জিন্দাবাজার পয়েন্ট থেকে পশ্চিমদিকে জল্লারপার পয়েন্ট পর্যন্ত বামদিকের ফুটপাতের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়।
একদিকে ফুটপাত ও রাস্তা দখল অন্যদিকে উপরে শেডের বাঁশের খুঁটি সবমিলিয়ে নগরীতে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পথচারী চলাচল বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু জিন্দাবাজারের এই অংশ নয়, জিন্দাবাজার থেকে চৌহাট্টা হয় আম্বরখানা, স্টেডিয়াম মার্কেট থেকে শুরু করে রিকাবীবাজার, রিকাবীবাজার থেকে লামাবাজার ভিআইপি রোড হয়ে শেখঘাট পয়েন্ট সবগুলো সড়কে এরকম চিত্র দেখা যাচ্ছে। এ নিয়ে পথচারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পথাচরীদের অনেকে বলেন, দোকানের মাল দোকানে থাকবে, দোকানের মাপ অনুযায়ী দোকানে মালামাল সাজানো থাকবে এটাই সুন্দর। কিন্তু দেখা যায় দোকানের সামনের রাস্তা বা ফুটপাতের কিছু অংশও সেই দোকানদার দখল করে মালামাল সাজিয়ে রাখেন। আবার উপরে পলিথিন বা টিন দিয়ে বাড়তি শেড টাঙান, এতে বেখেয়ালে এসব দোকানের সামনে দিয়ে যেতে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।
মঙ্গলাবার দুপুরে নগরীর লামাবাজার ভিআইপি রোডে বিলপারের কাছে এরকরম এক দুর্ঘটনার শিকার হন এক পথচারী। পূর্বদিকের ফুটপাত দিয়ে তিনি হেঁটে যাওয়ার সময় একটি লেপ তোশকের দোকানের লটকে রাখা জিনিসপত্রে বেশ জোরে মাথায় আঘাত পান।
কোনো কোনো জায়গায় দেখা গেছে শেডের নিচের পুরো অংশই দোকানিরা মালামাল দিয়ে দখল করে নিয়েছেন। কেউ কেউ চায়ের স্টল বা পানের দোকান ভাড়া দিয়ে দিয়েছেন। কোনো কোনো জায়গায় দেখা গেছে রাস্তার উপর চায়ের দোকান দিয়ে ফুটপাতে বাঁশের খুঁটি দিয়ে ত্রিপল টাঙিয়ে রাখতে। নগরীর জিন্দাবাজার থেকে জল্লারপার পয়েন্ট পর্যন্ত রাস্তায় এই চিত্র সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে। বামদিকের ফুটপাত চলে গেছে দোকানের বাড়তি শেডে আর ডানদিকের ফুটপাত রাস্তায় থাকা চায়ের টং দোকানের বাঁশ পলিথিনের ত্রিপলে। একই অবস্থা সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সামনে থেকে করিমউল্লাহ মার্কেটের সামন হয়ে পূর্বদিকে জেলরোড পর্যন্ত।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত ফুটপাত নিয়ে সিসিকের কোনো অভিযানের পরিকল্পনা নেই।