সিলেটে ইজিবাইক চালক হত্যা ঘাতকের আত্মহত্যার চেষ্টা, মিললো চাঞ্চল্যকর তথ্য
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ৭:১৬:০৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটে মালেক মিয়া (৪০) নামের এক ইজিবাইক চালক পেটে ছুরিকাঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির পর চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
মালেক মিয়া পুলিশকে জানান, অপর এক ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালককে খুন করেছেন তিনি। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রণজিৎ দাস (৫৮) নামের এক ব্যক্তির বস্তাবন্দি খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর বালুচর এলাকার এমসি কলেজের ছাত্রাবাস সংলগ্ন ছড়া থেকে দুটি আলাদা বস্তা থেকে তার খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রণজিৎ দাস সিলেট সদর উপজেলার টুকেরবাজরের দুসকি এলাকার বাসিন্দা। তিনি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন রণজিৎ দাস। এ ঘটনায় তার ছেলে শংকর দাস এসএমপির জালালাবাদ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর থেকে তার খোঁজ করছিল পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সর্বশেষ রণজিৎ দাসের সঙ্গে মালেক মিয়ার কথা বলা ও একসঙ্গে অবস্থানের তথ্য পায় পুলিশ। তবে মালেক মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোনো তথ্য পায়নি। এরপর থেকে তাকে নজরদারিতে রাখা হচ্ছিল। একপর্যায়ে টুকেরবাজার এলাকা থেকে মালেক মিয়াকে ছুরিকাহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি চিরকুটও উদ্ধার করা হয়। চিরকুটে লেখা ছিল- তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। পুলিশের ধারণা, তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।
পুলিশ জানায়, মালেক মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান রণজিৎ দাসকে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে টিলাগড় এলাকার একটি ছড়ায় ফেলে দেন। পরে পুলিশ তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রণজিৎ দাসের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইজিবাইকে যাত্রী পরিবহন নিয়ে সম্প্রতি টুকেরবাজারে রণজিতের সঙ্গে মালেক মিয়ার বাগবিতণ্ড হয়। এরই জের ধরে রণজিৎকে কৌশলে খুন করেন মালেক মিয়া। খুনের পর রণজিতের লাশ গুম করতে খণ্ড খণ্ড করে দুটি বস্তায় ভরে টিলাগড় এলাকার ছড়ায় ফেলে দেন।
এসএমপির শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, পূর্ব বিরোধের জেরে রণজিৎ দাসকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। কমপক্ষে তিন দিন আগে হত্যার পর বস্তায় ভরে লাশ ফেলা দেওয়া হয়। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত একজনকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটক করা হয়েছে।