বিজয়ের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে : হামিদুর রহমান আজাদ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ৫:৩২:৪০ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ বলেছেন, বিজয় দিবস আমাদের জাতীয় জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের অবৈধ ক্ষমতা দখলের প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণে আমরা আজো পরাধীনতার শিকলে বন্দী। কারণ বিজয়ের ৫২ বছর পরও আমাদেরকে ভোট ও ভাতের জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে। দেশকে একটি করদ রাজ্যে পরিণত করতে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র চলছে। বিজয়ের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় ও মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদেরকে আবারো মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
তিনি শুক্রবার রাতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং মহানগর সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর পরিচালনায় ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ফজলুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হামিদুর রহমান আজাদ আরো বলেনম, ইতিহাস স্বাক্ষী দেশের সকল ক্রান্তিলগ্নে জামায়াতে ইসলামী অতন্দ্র প্রহরীর ভুমিকা পালন করেছে। দেশের চলমান সংকট দূর করতে জামায়াতের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের অগ্রনী ভুমিকা পালন করতে হবে। ৭ জানুয়ারীর কথিত প্রহসনের নির্বাচনের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে হবে। এদেশে আর কোন পাতানো নির্বাচনের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেয়া যাবেনা। যারা পাতানো নির্বাচনে অংশ নিবে জাতির নিকট তারা দালাল ও দেশের শত্রু বলে চিহ্নিত হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ১৯৭১ সালের এইদিনে বিশ্ব মানচিত্রে আমাদের দামাল ছেলেরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে মুসলিম অধ্যুষিত স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস জাতীয় জীবনের গৌরবোজ্জল দিন। দেশ মাতৃকার গর্বিত সন্তান মুক্তিযুদ্ধের শহীদগণ আমাদের প্রেরণার উৎস ও মুক্তিযোদ্ধাগণ আমাদের সম্পদ। কিন্তু ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে বিজয় দিবসের চেতনাকে ভুলুন্টিত করেছে। আইন ও মানবাধিকারের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করছে। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে জাতিকে মুক্ত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, বিজয়ের ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও যে মহান লক্ষ্যে দেশ স্বাধীন হয়েছিল তা আজো বাস্তবায়ন হয়নি। দেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষের ভোটাধিকার নেই ও কথা বলার অধিকার নাই। মুক্তিযুদ্ধের ঐক্যের চেতনাকে রাজনৈতিক কারণে ক্রমশ বিভক্তির দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। সকল ষড়যন্ত্র নস্যাত করে বিজয়ের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে দারিদ্র ও দুর্নীতিমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ মানবিক বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বিজয়ের সুফল প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌছে দিতে দেশপ্রেমিক জনতার সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। বিজ্ঞপ্তি