মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের বিনিময়েই স্বাধীন দেশ পেয়েছি : বিভাগীয় কমিশনার
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ৭:০৪:৪৬ অপরাহ্ন
জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের আয়োজনে সিলেটে কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে মহান বিজয় দিবস ২০২৩ উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গের সদস্যগণের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসি বলেছেন, আপনারা বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। আপনারা জীবন বাজি রেখে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে এদেশ স্বাধীন করেছেন, এজন্য আমরা আজ স্বাধীন বাংলাদেশে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি, বিজয়োল্লাস করতে পারছি। দেশের প্রতিটি মানুষ আপনাদের কাছে চিরঋণী।
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস প্রচারের উপর গুরুত্বারোপ করে বিভাগীয় কমিশনার মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাদের মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে চাই। আমি আশা করবো আপনারা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করবেন, তরুণদের মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনাবেন যাতে আমাদের তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে অভিহিত হয় এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিজেদের জীবন গড়তে পারে।
জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানের সভাপতিত্বে বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান, বিপিএম (বার), পিপিএম, পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান, পিপিএম-সেবা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খান, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবতোষ রায় বর্মণ প্রমুখ। এতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন।
মহান বিজয় দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে সিলেট জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও তোপধ্বনি, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শনী, কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গের সদস্যগণের সংবর্ধনা ও আলোচনাসভা, মহিলাদের ক্রীড়া অনুষ্ঠান ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, দোয়া ও প্রার্থনা, উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অনুষ্ঠান প্রচারসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি