সিকৃবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ক্লাস পরীক্ষা বর্জন ভেটেরিনারি শিক্ষার্থীদের
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ৫:৩৪:০৭ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ এনিম্যাল হাসবেন্ড্রী কাউন্সিল আইন-২০২৩ প্রণয়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) দ্বিতীয় দিনের মতো ক্লাস পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি ও মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদ ভবনের সামনের সড়কে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে সংবাদ সম্মেলনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে সিকৃবি ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, ১৯৮২ সাল থেকে বিদ্যমান বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের আওতায় বর্তমানে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন-২০১৯ এর বিভিন্ন ধারা ও উপধারা অনুযায়ী প্রাণিসম্পদ সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ, মানসম্মত সেবা প্রদান ও অংশীজনদের প্রয়োজনীয় সকল বিষয়াবলী বাস্তবায়িত হয়ে থাকে। প্রাণিসম্পদের বিষয়ে আরো একটি স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠন ও আইন প্রণয়ন কোনোভাবেই কাম্য নয়। যা বিদ্যমান বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন-২০১৯ এর সাথে সাংঘর্ষিক হবে।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে বিদায়ী সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক তড়িঘড়ি করে এ ধরণের আইন প্রণয়নের উদ্যোগ স্পষ্টত উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এতে প্রতিয়মান হয় যে, বিদায়ী সচিব একজন অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি গ্রাজুয়েট হওয়ায় উনি পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করছেন যা পরবর্তীতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কার্যক্রমকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করবে।
এদিকে, দাবি বাস্তবায়ন না হলে করণীয় ও শিক্ষার্থীদের ক্লাস পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি কতদিন চলবে এমন প্রশ্নের জবাবে ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, এই হাসবেন্ড্রী কাউন্সিল আইনের বাস্তবায়ন একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। আমরা চেষ্টা করছি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করে এটিকে এখানেই স্থগিত করে দেয়ার জন্য। আর যদি সম্ভব না হয় তখন মন্ত্রী পরিষদে উত্থাপিত হবে। তখন বাংলাদেশ ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে এটিকে স্থগিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে এবং সে ক্ষেত্রেও যদি স্থগিত না হয় পরবর্তীতে আমরা আইনজীবীর মাধ্যমে আইনের আশ্রয় নিব। বিজ্ঞপ্তি