‘আল্লাহ জন দেখে ধন দেন’
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ৮:২১:২১ অপরাহ্ন
মুনশী ইকবাল:
আল্লাহ জন দেখে ধন দেন অর্থাৎ কার ধন কাজে লাগানোর যোগ্যতা আছে তা দেখে আল্লাহ সম্পদ দেন। তাই বিএনপি যে কূপে গ্যাস খুঁজে পায়না আওয়ামীলীগ সেই কূপ থেকেই শুধু গ্যাস নয়, তেলও খুঁজে পায়। বুধবার সিলেটে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী প্রচারণার উদ্বোধন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যের এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের হরিপুর গ্যাস কূপ সম্পর্কে এ কথা বলেন।
বিএনপি লালকার্ড পেয়ে গেছে: সমাবেশে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার বক্তব্যে বিএনপি সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, বিএনপি এখন কোথায়? বিএনপি ভুয়া, তারা লালকার্ড পেয়ে পালিয়ে গেছে। ডিসেম্বরের মধ্যে সরকার পতনের তাদের আন্দোলন কোথায় গেলো? তাদের অসহযোগ আন্দোলন ‘ঢাল নাই তলোয়ার নাই নিধিরাম সর্দার’। বিএনপির অবরোধ, আন্দোলন, রাজনীতি সব ভুয়া। বিএনপি, তারেক রহমান, খালেদা জিয়া মানুষ নয়, তারা মানুষের নামে দানব। তাই তাদের সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্র রুখতে হবে।
নারীরা শেখ হাসিনাকে সমর্থন দিতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সিলেট ১ আসনের সংসদ সদস্য এ কে আবদুল মোমেন শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার উল্লেখ করে বলেন শেখ হাসিনা নারীর কর্মসংস্থান ও নারীর ক্ষমতায়নে সবচেয়ে অবদান রেখেছেন। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার আগে মাত্র ৬ শতাংশ নারী শ্রমিক ছিলেন যা এই ক’বছরে ৪৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। তিনি সকল নথিতে বাবার নামের সাথে মায়ের নাম যুক্ত করাও বাধ্যতামূলক করেছেন। তাই নারীরা তাকে সমর্থন দিতে হবে।
শেখ হাসিনাকে সিলেটের উন্নয়নের কথা বলতে হয় না: সিলেটে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে স্বাগত জানিয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন সিলেটের উন্নয়নের কথা শেখ হাসিনাকে বলতে হয়না। না চাওয়ার আগেই সিলেটকে তিনি উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দিয়েছেন। আমি দায়িত্ব নেওয়ার দুইদিনের মাথায় তিনি সিলেটের আরও উন্নয়নের জন্য ১৪শ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেন।
দেখা শেষ তাই চলে যাচ্ছি: সকাল থেকেই সমাবেশ স্থলে বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও গ্রামগঞ্জ থেকে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে যোগ দেন। তবে সবাই যে সমাবেশে যোগ দিতে এসেছেন তা নয়। অনেকেই এসেছেন সমাবেশ কেমন হয় তা দেখতে, কেউ এসেছেন শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে আবার কেউবা এসেছেন নিজ এলাকার নেতার সমর্থনে। সমাবেশে উপস্থিত লোকজনের কথাবার্তা থেকে তা জানা গেছে। সকাল থেকে লোকজন সমাবেশে এসে যোগ দিলেও দুপুরের পর থেকে ধীরে ধীরে অনেকেই ফিরে যেতে দেখা গেছে। যারা শুধু সমাবেশ কেমন হয় দেখতে এসেছিলেন তারা এসে কিছুক্ষণ দেখে চলে যান। সমাবেশের পুরো এলাকা সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখায় বিরক্ত হয়ে তারা চলে যান। কেউ কেউ দেওয়ালে উঠে দেখার চেষ্টা করেন, তবে সবার পক্ষে তা সম্ভব হয়নি। একটার পর সংসদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখা শুরু করেন। এসময় অনেককে দেখা যায় তাদের সমর্থিত নেতার বক্তব্যের পর সমাবেশ স্থল থেকে তারা সরে যেতে শুরু করেন। দুপুর আড়াইটার দিকে দেখা যায় এক সংসদ সদস্য বক্তব্য শুরু করেন। তার বক্তব্য শুরুর পরই দেখা যায় সংসদ সদস্যের ছবি সম্বলিত হলুদ গেঞ্জি ও ক্যাপ পরিহিত সমর্থকরা ধীরে ধীরে সমাবেশ স্থল থেকে দূরে সরতে থাকেন। বিকেল ৪টা বিশ মিনিটে প্রধান মন্ত্রী বক্তব্য শুরু করার পরই অনেকেই সরে যাওয়া শুরু করেন। তারা বলেন দেখা শেষ তাই চলে যাচ্ছি। মাইক অনেক দূর পর্যন্ত দেওয়া আছে তাই যেতে যেতে যতক্ষণ মাইক পাবো ততক্ষণ শুনবো।