হাকালুকির অভয়াশ্রম বিলের মাছ লুট প্রতিরোধে ‘সুরক্ষা ও সংরক্ষণ’ কমিটির পাঁচ প্রস্তাব
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ৬:২০:২১ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি: দেশের সর্ববৃহৎ মিঠা পানির জলাভূমি হাকালুকি হাওরের মৎস্য অভয়াশ্রম বিলের লাখ লাখ টাকার মাছ লুট প্রতিরোধ ও বিল উন্নয়নে জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরে পাঁচটি প্রস্তাব প্রেরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বুধবার দৈনিক জালালাবাদের শেষ পৃষ্ঠায় ‘হাকালুকি হাওরের মৎস্য অভয়াশ্রমে হরিলুট’ শিরোনামে একটি সংবাদ ছাপা হয়। ওই দিন বিকেলে উপজেলা মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ উন্নয়ন কমিটির জরুরি সভায় বসে এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উপজেলা মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ও ইউএনও নাজরাতুন নাঈমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় গৃহীত প্রস্তাবগুলো হচ্ছে, মাছ লুটেরার কবল থেকে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ব্যাপকভাবে বাঁশ ও গাছের ডালপালা দিয়ে অভয়াশ্রম বিল ঢেকে দিতে ও মেরামত করতে হবে। প্রতিটি অভয়াশ্রম বিলের চারদিকের সীমানা চিহ্নিত করে ন্যুনতম ৫০ টি কংক্রিটের পিলার স্থাপন। পিলারগুলো এমনভাবে তৈরী করতে হবে যাতে পিলারের উপরে পাখি বসার ব্যবস্থা থাকে। ভরাট হওয়া বিলগুলো খনন করতে হবে। খননকৃত মাটিতে অভয়াশ্রমের সীমানায় বাঁধ নির্মাণ করে হিজল, করচের চারা লাগাতে হবে এবং একটি বিশেষ ফিশার্স ক্লাইমেট ডিজাস্টার সেন্টার কাম গার্ডরুম কাম ওয়াচ টাওয়ার তৈরী করতে হবে। যার নিচতলায় পার্শবর্তী ইজারাকৃত বিলের মাছ ক্রয় বিক্রয়ের ব্যবস্থা থাকবে।
হাকালুকির অভয়াশ্রম মৎস্য বিলগুলো হচ্ছে আগদার বিল, মাইছলার ডাক, কাংলি গোবরকুড়ি, নিমু বিল, তোরল বিল, তেকুনি বিল, কৈয়ারকোণা ও মইয়াজুড়ী।বড়লেখা সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ উন্নয়ন কমিটির সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান জানান, হাকালুকির মৎস্য অভয়াশ্রম বিলের মৎস্য সম্পদ সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট কমিটি আলাপ আলোচনা করে পাঁচটি প্রস্তাব পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রস্তাবগুলো জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হবে।