সিলেট আলোর নগরী : কামালুদ্দীন জাফরী
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ৫:৫০:৪৫ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা’র প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সাইয়্যেদ কামালুদ্দীন জাফরী বলেছেন, সিলেট আলোর নগরী। সিলেটে আল কুরআনকে হেফাজতের যে আয়োজন দেখা যায়, এর সম-আয়োজন আর কোনো শহরে নেই। আল কুরআনকে আল্লাহ সহজ করে দিয়েছেন। এরপরও যদি আমরা সুযোগটা গ্রহণ না করি, তবে আমাদের দূর্ভাগ্য। কুরআন মুখস্ত করা, মুখস্ত রাখার ব্যাপার মিরাকল। আজকে আমি ধন্য হয়েছি। এমন আয়োজন আরো দেখবো ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরো বলেন, কুরআনের শিক্ষা সমাজে বাস্তবায়ন করতে হবে। কোরআনকে ব্রেইনে রেখে নিজের জীবন পরিচালনা করতে পারলে দুনিয়া ও আখিরাতের জীবন সফল ও স্বার্থক হবে।মুয়াজ বিন জাবাল (রা.) কুরআনিক ইনস্টিটিউট সিলেটের সনদ ও পাগড়ী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অর্ধ দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। মদীনা মুনাওয়ারা থেকে আল কুরআনুল কারীমের ধারাবাহিক সনদ ও ইজাযা অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও হিফজুল কুরআনে গ্র্যাজুয়েশন লাভকারীদের সনদ ও পাগড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে দুটি আলাদা অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন উইজডম ট্রাস্ট সিলেটের সহসভাপতি মাওলানা মিসবাহুল ইসলাম চৌধুরী ও তাহফিজুল কুরআন শিক্ষা বোর্ড সিলেটের চেয়ারম্যান শায়খ আব্দুস সালাম আল মাদানী।
মাওলানা সৈয়দ আলমগীর হোসাইন’র পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সৌদি আরব ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সাবেক দাঈ শাইখুল হাদিস আল্লামা ইসহাক আল মাদানী, সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল প্রফেসর মাওলানা মাহমুদুল হাসান, কুরআন শিক্ষা প্রশিক্ষণ বোর্ড বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক ক্বারী মাওলানা মুজাম্মিল হোসাঈন চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেট মহানগরের সভাপতি মাওলানা হাবীব আহমদ শিহাব, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপপরিচালক শাহ মো. নজরুল ইসলাম ও সিসিক কাউন্সিলর রুহেল আহমদ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুয়াজ বিন জাবাল (রা.) কুরআনিক ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ এহসান উদ্দিন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি সাংবাদিক আব্দুল বাতিন ফয়সল, কাজী আব্দুল কাশেম, হাফিজ মাহবুবুর রহমান জালালাবাদী, হাফিজ মাশুকুল ইসলাম, মাওলানা বদরুল হক, মাওলানা সোলায়মান হোসাইন, আমীর হোসাইন, আব্দুল খালিক প্রমূখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বক্তারা বলেন, ভালো সন্তান দুনিয়া ও আখিরাতের সম্পদ। এজন্য সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। সুসন্তান পিতামাতাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠায় না, সেবা করে। কুরআনের আলো ঘরে ঘরে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। কুরআন বেশি বেশি চর্চার মাধ্যমে কুরআনুল কারীমের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।
সনদ ও পাগড়ী বিতরণ অনুষ্ঠানে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাফিজ খলীলুর রহমান মুনতাকিম, হাফিজ সাফওয়ান শরীফ খান, হাফিজ মাহদী খান, হাফিজ আবু জাফর, হাফিজ আহসান হাবীব।
উল্লেখ্য, মুয়াজ বিন জাবাল (রা.) কুরআনিক ইনস্টিটিউটের ১২৫ জন শিক্ষার্থীকে সনদ ও পাগড়ী বিতরণ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি