সিলেট ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রার্দূভাব, হাসপাতালে বাড়ছে ভিড়
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৩৫:০৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে এবার একটু দেরীতে নেমেছে শীত। এরপরও তাপমাত্রা নামার সাথে সাথেই সিলেটে বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ। ফলে সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালের ইনডোর-আউটডোরে বেড়েছে রোগীর চাপ। কর্তপক্ষ জানিয়েছেন হাসপাতালে আগত অধিকাংশ রোগী ঠাণ্ডাজনিত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট বিভাগজুড়ে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ, প্রতিদিন সরকারি ও বেসরকারি হাপতালে রোগীদের ভিড় করে দেখা যাচ্ছে। তবে বেশিরে ভাগ আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। গত কয়েক দিনের শীতের তীব্রতায় নাজেহাল মানুষজন। দেখা দিয়েছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রার্দূভাব।
ঘন কুয়াশা আর শীতের প্রচণ্ড তীব্রতার কাছে সবাই যেন পরাস্ত। সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকছে সূর্য। দুপুরের দিকে কিছুটা দেখা গেলেও হিমেল বাতাসের কাছে ম্লান হয়ে যাচ্ছে সূর্যের তাপমাত্রা।
শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে হাওর ও চা বাগান অধ্যুষিত সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। ঠান্ডাজনিত রোগের কারণে প্রতিটি জেলার সদর হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণ রোগীকে সেবা দিতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। হাসপাতালের বেডে রোগীদের জায়গা না থাকায় মেঝেতে হচ্ছে রোগীর ঠাঁই।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, একটি বেডে ৩ থেকে ৪ জন শিশুকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য মেডিসিন ওয়ার্ডে দেখা গেছে টা-াজনিত রোগে আক্রান্তের অধিকাংশই বয়স্ক। প্রতিদিনই ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানান, হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স। বিশেষ করে বয়স্ক রোগীরা শ্বাসকষ্ট ও হার্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওসমানী হাসপাতালের মতো পরিস্থিতি নগরীর বেসরকারী হাসপাতালগুলোতেও। সেখানেও ইনডোর-আউটডোর রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে প্রতিবছর এমন সময়ে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। তবে এবার শীত নামার সাথে সাথেই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে এটা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষুধ সেবন করতে হবে।
তিনি জানান, আমাদের হাসপাতালে সাধারণত ১৯০০ থেকে ২০০০ রোগী ভর্তি থাকেন। তবে সম্প্রতি এই সংখ্যা ২৩০০ ছাড়িয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে সিলেটের ডেপুটী সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় শংকর দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, এই মওসুমে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পায়। অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও ঠান্ডাজনিত রোগ কিছুটা বেড়েছে। এই সময়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
তিনি বলেন, এই সময়ে ভিটামিন সি যুক্ত ফলমুল ও শাকসবজি খাওয়ার পরিমান বাড়াতে হবে। বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। যতটা সম্ভব ঠান্ডা থেকে নিজেকে দুরে রাখতে হবে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। শুরুতেই এন্টিবায়েটিক ঔষধ সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে। সর্দি-কাশির সাথে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের স্মরনাপন্ন হতে হবে।