বিশ্বনাথে কিশোর হত্যার রহস্য উদঘাটন
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ৭:২৫:৪৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের বিশ্বনাথে ইটভাটার কিশোর শ্রমিক আমিন মিয়া সিয়াম (১৬) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এছাড়া হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে- হত্যার আগে সিয়ামকে বলাৎকার করা হয়েছে। বিষয়টি সে তার পরিবার ও লোকজনকে জানিয়ে দিবে বললে অভিযুক্ত যুবক তাকে হত্যা করে।
গ্রেফতারকৃত আরকুম আলীকে (৪০) বিশ্বনাথ উপজেলার কান্দি উত্তর আজিজনগর গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে। রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বুধবার রামপাশায় ওয়াজ মাহফিলে যোগ দেয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হয় আমিন মিয়া সিয়াম। রাতে বাড়ি ও পরদিন সকালে কাজে না ফেরায় স্বজনরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। কোথাও সন্ধান না পেয়ে ওইদিন বিশ্বনাথ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে তার বাবা আবু বকর। নিখোঁজের তিনদিন পর শনিবার দুপুরে হাওরে তার মরদেহ পাওয়া যায়। সে ব্রাহ্মণবাগিয়া জেলার সরাইল থানার করাতকান্দি গ্রামের আকবর আলীর ছেলে। সিয়াম বিশ্বনাথে পরিবারের সঙ্গে থেকে রামপাশার এফসি নামক ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতো।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আরকুম আলী জানান- এফসি ব্রিকসে সে মাটি আনলোডের কাজ করেন। ইট ভাটাতেই কাজের সুবাদে সিয়ামের সাথে তার পরিচয় হয়। গত বুধবার সিয়ামের বাবা ও ভাই অন্যত্র যাওয়ার খবর পেয়ে আরকুম আলী ভিকটিম সিয়ামকে বলাৎকার করার পরিকল্পনা করে। সে অনুযায়ী রাত ৮টার দিকে সিয়ামকে নিয়ে এক জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ইটভাটার পার্শ্ববর্তী হয়দরপুর হাওরে নিয়ে যায়। এ সময় নদী পার হয়ে পশ্চিমপাশে যাওয়ার কথা বলে সিয়ামকে তার পরিহিত প্যান্ট-শার্ট খোলার জন্য বলে আরকুম আলী। সিয়াম তার কথামতো পরণের কাপড় খুললে আরকুম আলী তাকে জোরপূর্বক বলাৎকার করে। একপর্যায়ে সিয়াম ঘটনাটি তার বাবা ও ব্রিকস ফিল্ডের ম্যানেজারকে জানাবে বললে আরকুম ক্ষুব্ধ হয়ে মুখ চেপে শ্বাস রোধ করে ওই কিশোরকে হত্যা করে। পরে লাশ একটি ঝোপের মধ্যে ফেলে এবং সিয়ামের প্যান্ট, জুতা নদীতে ফেলে চলে আসে আরকুম।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, গ্রেফতার আরকুমের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ সিয়ামের প্যান্ট, জুতা ও একটি টাওয়াল উদ্ধার করে। রোববার আসামিকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেওয়ার জন্য আদালতে প্রেরণ করা হয়। ময়না তদন্ত শেষে মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।