ওসমানীনগরে ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ৬:২২:৪৩ অপরাহ্ন
ওসমানীনগর প্রতিনিধি: ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারে স¤্রাট আবাসিক হোটেল থেকে রুহেল মিয়া (৩৮) নামের এক ব্যবসায়ীকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি উপজেলার বুরুঙ্গা ইউনিয়নের তিলাপাড়া গ্রামের আকল মিয়ার ছেলে এবং বুরুঙ্গা বাজারের ফ্যামিলি শপের স্বত্বাধিকারী। তার রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে এলাকায় ব্যাপক কৌতূহল শুরু হয়েছে।
আবাসিক হোটেল সূত্রে জানা যায়, (৩০ ডিসেম্বর) শনিবার বিকাল পৌণে ৪টায় ব্যবসায়ী রুহেল তহেনা ওরফে শাহেনা (৩৫) নামের এক মহিলাকে সাথে নিয়ে চিকিৎসার কথা বলে হোটেলের ২য় তলার ৩১১ নম্বর কক্ষ ভাড়া নেন। হোটেলে উঠার কিছুক্ষণ পর রুহেল এর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে সাথে থাকা ঐ মহিলা হোটেল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। তখন হোটেলের ব্যবস্থাপক সুজন দাস (৩০) ও মার্কেটের তত্ত্বাবধায়ক রাশেন্দ্র কুমার তালুকদার (৫৫) রুহেল এর পরিবারের সদস্যদের মোবাইল মারফতে তার অসুস্থতার সংবাদ দেন। বিকাল সাড়ে ৫টায় রুহেল এর সাথে থাকা মহিলার আত্মীয় জনৈক সাব্বির নামের এক যুবক এসে রুহেলকে অজ্ঞান অবস্থায় স্থানীয় তাজপুর কদমলাস্থ প্যারাডাইস ক্লিনিকে নিয়ে যান। ক্লিনিকের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। তখন সাথে থাকা ঐ মহিলা এবং যুবক ক্লিনিকে লাশ রেখে কৌশলে পালিয়ে যান।
সন্ধ্যার পর রুহেল এর পরিবার এর লোকজন ক্লিনিকে গিয়ে লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা পুলিশ একটি দল গোয়ালাবাজারস্থ স¤্রাট হোটেলে গিয়ে সকল তথ্য সংগ্রহ করে ৩১১ নম্বর কক্ষটি তালাবদ্ধ করে আসে। রাত ১০টার পর ওসমানীনগর সার্কেল এর সহকারী পুলিশ সুপার, ওসমানীনগর থানার ওসি, বুরুঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
স¤্রাট আবাসিক হোটেল এর ব্যবস্থাপক সুজন দাস বলেন, ব্যবসায়ী রুহেল আমাদের পরিচিত, তাই তার ছবি তুলিনি, আইডি কার্ড রেখেছি। মহিলার ছবি মোবাইলে তুলে রেখেছি। হোটেল রেজিস্টারে রুহেল এর ঠিকানা আছে কিন্তু মহিলার ঠিকানা নেই কেন- এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অন্য একটা খাতায় লিখে রাখছিলাম, সেটা পুলিশ নিয়ে গেছে।
মার্কেটের তত্ত্বাবধায়ক রাশেন্দ্র কুমার তালুকদার (৫৫) বলেন, চিকিৎসার কথা বলে সাথে থাকা মেয়েকে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ী রুহেল হোটেলে উঠেন। ৪০মিনিটের মাথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা তখন রুহেল ও তার সাথে থাকা মেয়ের পরিবারে খবর দিয়েছি। ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ওবাইদ উল্লাহ বলেন, আমি লাশ নিয়ে মর্গে আছি। তাহেনা নামের একটি মেয়ে তার সাথে ছিল। সম্ভবত মেয়েটির বাড়ি নিজ বুরুঙ্গা বা হাজিপুর এর দিকে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। ওসমানীনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ রাশেদুল হক বলেন, আমরা ব্যবসায়ীর লাশের ময়না তদন্ত করিয়েছি। মেয়েটি তাদের এলাকার শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত চলছে।