নির্বাচনের পর সিলেটের রেল লাইনের উন্নয়ন কাজ শুরু : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ৭:৩১:২৬ অপরাহ্ন
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, আওয়ামীলীগ শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে বিশ্বাসী। আওয়ামীলীগ আছে বলে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, রিজার্ভ বাড়ছে। তিনি দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে আওয়ামীলীগকে জয়যুক্ত করার আহবান জানান।
সোমবার নগরীর হাফিজ কমপ্লেক্স-এ দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র উদ্যোগে আয়োজিত সিলেটের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ এর সভাপতিত্বে সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে দারিদ্রতার হার ৪২% থেকে ১৮.৭% এ নেমে এসেছে। আমরা আশাবাদী অচিরেই বাংলাদেশ দারিদ্রতার কবল থেকে মুক্ত হবে। তিনি বলেন, উন্নয়নের মূলমন্ত্র গণতান্ত্রিক ক্ষমতার ধারাবাহিকতা। এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তিনি আগামী ৭ জানুয়ারি সকলকে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে উন্নয়নের পক্ষে ভোট প্রদানের আহবান জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার করেছেন আগামী নির্বাচনের পরে সিলেটের রেল লাইনের উন্নয়ন কাজ শুরু হবে। তিনি উল্লেখ করেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নে ১৪৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, বিমানবন্দরে যাত্রীদের আত্মীয়-স্বজনদের জন্য শেড নির্মাণে বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল পাশ হয়েছে, সুরমা ও কুশিয়ারা নদী খননের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি সিলেটের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনার প্রশংসা করেন এবং প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি তাহমিন আহমদ বলেন, বর্তমান সরকারের গত ৫ বছরের মেয়াদে সিলেটে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন হয়েছে, যার ফলে সিলেটের সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ী মহল উপকৃত হয়েছেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন আগামী মেয়াদেও নির্বাচিত হয়ে বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখবেন। তিনি সিলেট চেম্বারের উদ্যোগে এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফজলে এলাহী মোঃ ফয়সাল এর সহযোগিতায় প্রস্তুতকৃত সিলেট জেলার ১৩টি উপজেলায় বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় খাতসমূহ সংক্রান্ত গবেষণাপত্র এবং সিলেটের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সিলেট চেম্বারের পক্ষ থেকে ১৬টি প্রস্তাব লিখিতভাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে, সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে ইন্টার কন্টেইনার ডিপো (আইসিডি) স্থাপন, ইসলামপুরে অবস্থিত বিটিএমসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন সিলেট টেক্সটাইল মিলের জমি প্লট আকারে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তাদের বরাদ্দ প্রদান, সিলেট থেকে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে তাজা শাক-সবজি ও ফলমূল রপ্তানির লক্ষ্যে সিলেটে প্যাকিং হাউজ ও সার্টিফিকেশন ল্যাব নির্মাণ, সিলেট-চট্টগ্রাম হাইওয়ে ৬ লেনে রূপান্তর, সিলেটে এনআরবি ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠা, সিলেটের পর্যটন খাতের বিকাশ ঘটাতে “সিলেট পর্যটন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ” গঠন, সিলেটে নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের লক্ষ্যে নতুন একটি বিসিক শিল্প নগরী স্থাপন, ভোলাগঞ্জ স্থল শুল্ক স্টেশনে ইমিগ্রেশন চালু, সিলেট-ঢাকা ও ঢাকা-সিলেট রুটে বাংলাদেশ বিমানের সান্ধ্যকালীন ফ্লাইট প্রতিদিন চালু ইত্যাদি।
সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, পরিচালক ও সাবেক সভাপতি আবু তাহের মোঃ শোয়েব। উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ চৌধুরী, সিলেট চেম্বারের সাবেক সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ, সাবেক সহ সভাপতি মোঃ দিলওয়ার হোসেন, পরিচালক মোঃ আব্দুর রহমান (জামিল), মুজিবুর রহমান মিন্টু, আলীমুল এহছান চৌধুরী, ফাহিম আহমদ চৌধুরী, কাজী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, মোঃ সারোয়ার হোসেন ছেদু, সাবেক সহ সভাপতি মোঃ এমদাদ হোসেন, সাবেক পরিচালক এহতেশামুল হক চৌধুরী, আব্দুর রহমান, মোঃ বশিরুল হক, সচিব মোঃ গোলাম আক্তার ফারুক, সিলেটের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সিলেট চেম্বারের সদস্যবৃন্দ এবং প্রেস ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ। সভা সঞ্চালনা করেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র কর্মকর্তা মিনতি দেবী। বিজ্ঞপ্তি