ফাঁকা মাঠে গোল দিচ্ছেন ইমরান
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ৮:৩২:৫০ অপরাহ্ন
আব্দুল জলিল, কোম্পানীগঞ্জ: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৪ আসন অনেকটা নিরুত্তাপ। প্রচার প্রচারণা কিংবা ব্যনার ফেস্টুন অন্য নির্বাচনের চেয়ে অনেক কম। বিভিন্ন জায়গায় নৌকার কয়েকটি পোস্টার টানানো থাকলেও আর কারো পোস্টার চোখে পড়েনি। এবারের নির্বাচনে সিলেট-৪ আসনে আওয়ামীলীগের একক প্রার্থী ইমরান আহমদ। দলের সমর্থন নিয়ে ৭ম বারের মতো এমপি হওয়ার পথে। তবুও বসে নেই তিনি। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনতে শুরু থেকেই চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা, পথসভা ও জনসভা। এই নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে যারা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন তাদেরকে কোম্পানীগঞ্জ গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুরের ১০ ভগ মানুষও চিনেন না। তাদের প্রচার প্রচারণাও তেমন নাই। তাই অনেকটা ফাঁকা মাঠে গোল দিচ্ছেন ইমরান আহমদ।
তবে ৪ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ইমরান আহমদের সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে অনেকটা উৎসবের আমেজ দেখা যায়। বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিলে মিছিলে নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হোন। কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে কোম্পানীগঞ্জ থানা সদর মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনী শেষ জনসভায় ইমরান আহমদ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির কথা জানান। তিনি তার বক্তব্যে বলেছেন চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে আবারও নৌকায় ভোট দিতে হবে।
নিরুত্তাপ নির্বাচনে কিছুটা উত্তাপ ছড়িয়েছে এই সমাবেশ। পাড়ুয়া থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদের নেতৃত্বে প্রায় ৩ হাজার মানুষ সমাবেশে যোগ দেন। এছাড়া তেলিখাল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল ওয়াদুদ আলফুর নেতৃত্বেও কয়েক হাজার মানুষ মিছিল দিয়ে সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হন। এর বাইরে টুকের বাজার, কোম্পানীগঞ্জ, কাঠালবাড়ী, পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন, উত্তর রণিখাই ইউনিয়ন ও দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়ন থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে নেতাকর্মীরা উপস্থিত হোন। সিলেট-৪ আসনে বিএনপি, জামায়াত আর নিজ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত এই দুই প্রার্থীর প্রতিবন্ধকতা অনেকটা কেটে গেছে।
গোয়াইনঘাট-জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৪ আসন। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইমরান আহমদ ছাড়া আছেন ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মো. নাজিম উদ্দিন (কামরান) ও তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মো.আবুল হোসেন। যাদের ভোট ব্যাংক থাকা তো দূরের কথা, এলাকায় পরিচিতিও নেই। প্রথম দিকে দেখা না গেলেও নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে এসে নাজিম উদ্দিন কামরান ও আবুল হোসেনের নামেমাত্র পোস্টার ও প্রচারণা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ৩ প্রার্থী গণসংযোগ চালালেও ইমরান আহমদ ছাড়া অন্য প্রার্থীদের মিটিংয়ে জনসাধারণের তেমন উপস্থিতি নেই বললেই চলে। যার কারণে আর কোনো বাঁধাই নেই ইমরান আহমদের সামনে। যেখানে তার বিজয়ের ঘোষণা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র, সেখানে তবুও তিনি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন, ভোট চাচ্ছেন, এলাকাবাসীর সাথে কুশল বিনিময় করছেন। যাচ্ছেন হাওরাঞ্চলেও। সেখানকার মানুষদেরও ৭ তারিখে ভোটকেন্দ্রে আসার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছেন। শুধু ইমরান আহমদ না, তার দলের তিন উপজেলার নেতাকর্মীরাও কাজ করছেন তার পক্ষে। মন্ত্রী ইমরান আহমদ তার বেশিরভাগ সভায়-ই ভোট খোঁজার চেয়েও ভোটকেন্দ্রে আসার অনুরোধ জানাচ্ছেন। নির্বাচনে জয় অনেকটা নিশ্চিত জেনেও তবু থেমে নেই তার বিরামহীন প্রচার-প্রচারণা।