নিরুত্তাপ ভোটে পাঠানটুলায় উত্তাপ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ৮:৫৯:৫৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : ভোটার খরা পরিস্থিতির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সিলেট নগরীর বিভিন্ন কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নিরুত্তাপ ভোটে হঠাৎ উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে নগরীর পাঠানটুলা দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে। সকালের দিকে একদল যুবক মিছিল সহকারে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করলে অ্যাকশনে যায় পুলিশ। শেষ পর্যন্ত সাউন্ড গ্রেনেড ও শর্টগানের গুলী ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ।
সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, রোববার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৪টায় শেষ হয়। তবে সকাল ১০টার আগে অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল শুন্য। বেলা বাড়ার সাথে উপস্থিতি বাড়লেও সংখ্যা ছিল খুব নগন্য। নগরীর অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রে নৌকা ছাড়া অন্য কোন প্রার্থীর এজেন্টের দেখা মিলেনি।এদিকে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে একদল যুবক সরকারবিরোধী মিছিল দিয়ে পাঠানটুলা দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টা করলে অ্যাকশনে নামে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ এসে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা দ্রুত পালিয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভকারীরা ‘অবৈধ সরকারের অবৈধ ভোট, মানি না মানব না’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন। তবে তাঁদের বেশিরভাগেরই মুখে মাস্ক ও মাথায় হেলমেট ছিল। ১১টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে পাঠানটুলা দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দেখা গেছে, এসএমপির উপ পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ, কোতোয়ালী থানার ওসি মঈন উদ্দিন শিপনসহ বেশকিছু সংখ্যক পুলিশের অবস্থান। এসময় আজবাহার আলী শেখ বলেন, কতিপয় যুবক কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও জনমনে ভীতির সঞ্চার করতে চেয়েছিল। পুলিশ অ্যাকশন নেয়ায় দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে বলেও জানান তিনি।
সোমবার সকাল থেকে নগরীর ১০নং ওয়ার্ডের পিডিবি উচ্চ বিদ্যালয়, ৯নং ওয়ার্ডের বর্ণমালা স্কুল ও শাহীন ক্যাডেট স্কুল, ৮নং ওয়ার্ডের শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা পাঠানটুলা, ৭নং ওয়ার্ডের পিটিআই স্কুল ও আব্দুল গফুর ইসলামী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিলনা বললেই চলে। কয়েকটি কেন্দ্রে ২ ঘন্টায় ২ থেকে ৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসার। এসব কেন্দ্রগুলোতে নৌকা ছাড়া অন্য কোন প্রার্থীর এজেন্টের দেখা মিলেনি। কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি না থাকলেও এসব কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীদের জটলা দেখা গেছে।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পাঠানটুলা দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থাপিত দুটি কেন্দ্রের ৪০নং কেন্দ্রে ২৭৪১ ভোটারের মধ্যে ভোট দেন ১৫০ জন এবং ৪১নং কেন্দ্রে ২৩২৯ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ১৪০টি।
বেলা ২টার দিকে নগরীর শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা পাঠানটুলার একটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে এই সময় পর্যন্ত ১২৯৩ জনের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২০০ জন।
একই পরিস্থিতি দেখা গেছে নগরীর পিটিআই স্কুল ও আব্দুল গফুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে। বেলা ১টা পর্যন্ত দুটি কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৫ থেকে ৭ শতাংশ।