‘ডামি’ ভোটার!
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ৯:০৯:২৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে বিরোধী দলগুলো ডামি ভোট বলে সমালোচনা করে আসছে। এবার ডামি ভোটারের দেখা মিলেছে সিলেট নগরীতে। খোদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নিজ কেন্দ্রে। এ নিয়ে সর্বত্র সমালোচনার ঝড় উঠছে। লাইনে দাঁড়ালেও ভোট না দেওয়ায় তাদেরকে ‘ডামি’ ভোটার বলে আখ্যায়িত করেন অনেকেই।সরেজমিনে দেখা গেছে, রোববার সকাল ১০ টায় নগরীর দুর্গাকুমার পাঠশালায় ভোট প্রদান করেন সিলেট-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। মোমেন ভোটকেন্দ্রে আসার ঘন্টাখানেক আগেই ঐ কেন্দ্রের সামনে জড়ো হন ২ শতাধিক লোক। যাদের অধিকাংশই নারী। দুর্গাকুমার পাঠশালার পাশে মধুবন সুপার মার্কেটের পাশে জড়ো হন তারা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভোটকেন্দ্রে আসার কয়েক মিনিট আগে ভোটকেন্দ্রের সীমানার ভেতরে ঢুকে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে যান তারা। কিছুক্ষণ পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেন্দ্রে গিয়ে ২য় তলার একটি কক্ষে ভোট দিতে যান। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভোট দিয়ে নামতে না নামতেই উধাও হয়ে যান লাইনে দাঁড়ানো সবাই। তারা কেউই ভোট দেননি।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুর্গাকুমার পাঠশালায় জড়ো হওয়া কেউই এই কেন্দ্রের ভোটার নন। তারা সকলেই ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেবক ও সেবিকা। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ভোটার উপস্থিতি দেখাতে তার ভোট দেয়ার সময় তাদের কেন্দ্রে জড়ো করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন জানিয়েছেন।
এ সময় ওই কেন্দ্রে উপস্থিত একাধিক গণমাধ্যম কর্মী জানান, কেন্দ্রে জড়ো হওয়াদের দেখে সন্দেহ হলে সাংবাদিকরা তাদের কাছে এই কেন্দ্রের ভোটার কী না জানতে চান। এসময় তারা কোন সদুত্তর না দিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে যান। পরিস্থিতি আচ করতে পেরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাংবাদিকরা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের সাথে সাথেই তারা কেটে পড়েন।ভোট কেন্দ্রে হাজির হওয়া সেবক সেবিকাদের সাথে ছিলেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নার্সেস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল আলী সাদেক। ভোটার না হওয়া সত্ত্বেও নার্সদের ওই কেন্দ্রে জড়ো করা নিয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার মৃণয় দাশ ঝুটন বলেন, ভোটদানের সময় আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ছিলাম। বাইরে কি হয়েছে তা আমার জানা নেই।