সিলেট-৩ আসনে আতিক-দুলালের ভোট বর্জন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৪:২৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) আসনের দুই প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন। তাঁরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী আতিকুর রহমান।
ভোট শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগে তাঁরা পৃথকভাবে ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন। এ নিয়ে সিলেটের তিনটি আসনের মোট সাতজন প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিলেন।ইহতেশামুল হকের অনুসারীরা দাবি করেছেন, রোববার দুপুরের পর অধিকাংশ কেন্দ্র থেকে ইহতেশামুলের এজেন্টদের মারধর ও বের করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি জাল ভোট দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। এসব ঘটনার অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের অনুসারী ও সমর্থকেরা নির্বাচন-সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে তিন উপজেলার অন্তত ৬০টি ভোটকেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিয়েছে। এমনকি তাঁর এজেন্টদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। তাই ভোট বর্জন করেছেন।সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান বলেন, ‘অসংখ্য কেন্দ্রে কারচুপি ও অনিয়ম হয়েছে। তাই ভোট বর্জন করেছি।’ এর আগে বিকেল পৌনে চারটার দিকে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে আতিকুর বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলার ৩৬টি কেন্দ্রে জাল ভোট পড়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হয়েছে। উৎসবের আমেজে মানুষ ভোট দিয়েছেন। ভোট শেষ হওয়ার পর ভোট বর্জনের আবার ঘোষণা কী?সিলেট-৩ আসনে মোট প্রার্থী সাতজন। অন্যরা হলেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আনোয়ার হোসেন আফরোজ (আম), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের শেখ জাহেদুর রহমান মাসুম (মোমবাতি), ইসলামী ঐক্যজোটের মইনুল ইসলাম (মিনার) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফখরুল ইসলাম (ঈগল)।