নতুন নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি-জামায়াতের ২দিনের কর্মসূচি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ৮:৪৮:১১ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন দেশের জনগণ একচেটিয়াভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবির পক্ষে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে মঙ্গলবার ও বুধবার দুদিনের গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
সোমবার সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। ৭২ দিন পর গুলশান কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।এদিকে নতুন নির্বাচনের দাবীতে ২দিনের কর্মসূচী ঘোষণা করেছে জামায়াত। সোমবার দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম এক বিবৃতিতে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচী ঘোষণা করেন।
বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান। একতরফা নির্বাচনের বিষয়ে দলের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মঈন খান বলেন, দেশের জনগণ একচেটিয়া নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। ৬৩টি রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ নেয়নি, আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ডামি নির্বাচন করেছে, ডামি প্রার্থী দিয়েছে, ডামি পর্যবেক্ষক দিয়েছে, তবু ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে নিতে পারেনি। সরকারের প্রতি যদি মানুষের আস্থা থাকত মানুষ নিজেই ভোট দিতে আসতো।
৪০ শতাংশ ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য প্রসঙ্গে মঈন খান বলেন, প্রথমে বলা হলো ২৭.৫ পারসেন্ট ভোট পড়েছে, টেকনোলজির কল্যাণে জানা গেছে, পাশ থেকে এক কর্মকর্তা বলছেন ৪০ পারসেন্ট বলতে হবে। তিনি বলেন, জনগণ ডামি নির্বাচন বর্জন করে প্রমাণ করেছে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ভুয়া। নির্বাচন কমিশন দুই একটা কেন্দ্র বন্ধ করে প্রমাণ করতে চেয়েছে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। এসব নাটক জনগণ বুঝে গেছে।
ড. মঈন খান বলেন, আগামীতে সরকার যে সরকার গঠন করবে তা হবে- ফর দ্য ডামি, বাই দ্য ডামি, অব দ্য ডামি- এমন ডামি সরকার জনগণ চায় না। সুতরাং জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে। আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চায় বিএনপি।
আরেকটি নির্বাচনের জন্য বিএনপি আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকার ভুয়া নির্বাচন করেছে। আমরা বলেছিলাম, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। জনগণকে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছিলাম। আমাদের আহ্বানে তারা ভোট দিতে যায়নি। তাই এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন দিতে হবে। যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে। নতুন নির্বাচনের দাবিতে মঙ্গলবার থেকেই আমাদের গণসংযোগ কর্মসূচি শুরু হবে।
ভারত, চীন ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানানোর বিষয়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মঈন খান বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করে। যেসব দেশ গণতন্ত্রের সঙ্গে আছে আমরাও তাদের সঙ্গে আছি।
এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে দুই দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াত। মঙ্গলবার ও বুধবার দেশব্যাপী গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করবে দলটি।সোমবার বিকালে এক সংবাদ বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম।
এটিএম মা’ছুম বলেন, ৭ই জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ ভোট না দিয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার আর কোনো নৈতিক অধিকার নেই। আমি জামায়াতের পক্ষ থেকে দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে অবিলম্বে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিতে মঙ্গলবার ও বুধবার দেশব্যাপী গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি ঘোষণা করছি।