কুয়াশার চাদরে মাঘের আগমনী বার্তা, সিলেটে তাপমাত্রা ১৫.২
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ৮:৪১:৩৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: আর মাত্র তিনদিন পর বাংলার প্রকৃতিতে ঘটবে মাঘের আগমন। অবশেষে পৌর্ষের শেষদিকে এসে কুয়াশার চাদর ভেদ করা ভোরের হিমেল হাওয়া আর রাতের কনকনে শীত জানান দিচ্ছে মাঘের। প্রচলিত আছে মাঘের হাড় কাঁপানো শীতে নাকি বাঘ ও পালিয়ে যায়। এবার সেই শীতেরই আমেজ বুঝা যাচ্ছে বেশ ভালোই। এতদিন শীত খুব একটা সেভাবে দেখা না গেলেও মঙ্গলবার ভোর থেকে বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে। ভোরে দেখা মিলছে ঘন কুয়াশার। সিলেট আবহাওয়া অফিসের বার্তাও শীতের জানান দিচ্ছে। মঙ্গলবার সিলেটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানায় তারা।
এ ক’দিন বেশিরভাগ লোকজন শীতের হালকা কাপড় পরিধান করলেও এখন দেখা যাচ্ছে অনেকেই ভারী পোশাক পরিধান করছেন। সকাল ও রাতে মাপলার বা কানটুপি পরা লোকজনের সংখ্যাও বেড়েছে। সকালের দিকে রাস্তায় কমেছে লোকজনের আনাগোনা। কেবল স্কুলগামি শিশুকিশোর এবং তাদের অভিভাবকদেরই মূলত সকালে রাস্তায় বেশি দেখা যায়। ভোরের কুয়াশার চাদর ভেদ করে সোনালি রোদের আগমন কিছুটা দীর্ঘায়িত হওয়ার পর ধীরে ধীরে পথে ঘাটে বাড়তে থাকে লোকজনে সংখ্যা।
ষড় ঋতুর হিসেবে পৌষ-মাঘ এই দুইমাস শীতকাল। পৌষে সাধারণত হালকা হিমেল হাওয়া থাকে এবং হাড় কাঁপানো শীতের আগমন ঘটে মাঘে। বাংলাদেশ চিরকালই উষ্ণ-ভাবাপন্ন নাতিশীতোষ্ণ ম-লীয় দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। চরম-ভাবাপন্ন গরম বা শীত এদেশের আবহাওয়ার ইতিহাসে তেমন নেই বললেই চলে। কিন্তু বৈশ্বিক আবহাওয়া যেভাবে বদলে যাচ্ছে, নানা রকমের পালাবদল যেভাবে হচ্ছে, তাতে এদেশের আবহাওয়ার ঐতিহ্যও আর টিকে থাকতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না। এদেশের মানুষের স্মৃতি ও অভিজ্ঞতায় যে হাল্কা-মধুর শীতের বিবরণ এ যাবৎকাল ধরে বিরাজ করছিল, সেটা আর টিকছে না এইবার। কনকনে ঠান্ডা বাতাস, কুয়াশার ভারী দাপট, সূর্যের অনুপস্থিতি শীত নামক মায়াবী ঋতুটিকে প্রবল আতঙ্কের বিষয়ে পরিণত করে তুলতে পারে। কেননা মাঘের প্রকৃতি এমনিতেই থাকে নীরস, শীতে জবুথবু। তাই মাঘের এই আগমনে শীতার্তদের কথা চিন্তা করে প্রস্তুতি নিতে হবে এখনই।