দোয়ারায় নির্বাচনী সহিংসতায় মামলা দায়ের
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ৮:০১:৩৫ অপরাহ্ন
দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি: দোয়ারাবাজারে নির্বাচন পরবর্তী নৌকা ও ঈগলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় জনমনে এখনো আতঙ্ক কাটেনি। সংঘর্ষের দিন গত বুধবার সকালে নৌকার সমর্থক উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আবুল মিয়ার উপর পিস্তল দিয়ে তিন রাউন্ড গুলি করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে পিস্তলের পরিত্যক্ত এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার হলেও এখন পর্যন্ত অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। অন্যদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় আধিপত্য দেখাতে গিয়ে যে কোনো সময় অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা ।
এদিকে, সংঘর্ষের একদিন পর বুধবার রাতে উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল খালেকের পুত্র এবং উপজেলার সদর ইউনিয়নের নৈনগাঁও গাঁও গ্রামের বাবুল মিয়া বাদী হয়ে ৬৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উপজেলা সদরের স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, দুইপক্ষের সংঘর্ষের দিন পিস্তলের পরিত্যক্ত একটি গুলি পুলিশ উদ্ধার করলেও এখন পর্যন্ত পিস্তল উদ্ধার হয়নি। এ নিয়ে জনসাধারণ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
অস্ত্র উদ্ধারের ব্যাপারে জানতে চাইলে এএসপি (ছাতক-দোয়ারাবাজার সার্কেল) রণজয় চন্দ্র মল্লিক বলেন, সংঘর্ষের দিন দেশীয় অস্ত্রসহ পিস্তলের একটি পরিত্যক্ত গুলিও উদ্ধার করা হয়েছিল। পিস্তল উদ্ধারে পুলিশ তৎপর আছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সকালে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুহিবুর রহমান মানিক (নৌকা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শামীম আহমদ চৌধুরী (ঈগল) সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় যুবলীগ নেতা আবুল মিয়ার উপর হামলা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। ঘটনা জানাজানি হলে ওইদিন ব্যাপক উত্তেজনা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১০৪ রাউন্ড সর্টগানের গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের ঘটনায় সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের ছুঁড়া রাবার বুলেটে অন্তত ৪৬ জন আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে অনেকেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার ওসি বদরুল হাসান বলেছেন, সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটানো এবং অভিযোগ খতিয়ে দেখে ঘটনার সাথে জড়িতদের শীঘ্রই গ্রেফতার করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।