রাস্তার মোড়ে মোড়ে বেড়েছে পিঠা-পুলি বিক্রি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ৬:২৭:২৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : শীত মানেই পিঠা-পুলির স্বাদ। শীত আর পিঠার যেন অন্য রকম মিতালি। সিলেটে হালকা শীতেই জমে উঠেছে হরেক পিঠার বিকিকিনি। সন্ধ্যায় নগরের জনাকীর্ণ স্থানে, রাস্তার মোড়ে কিংবা মহল্লার অলিগলিতে শীতের হরেক পিঠার পসরা সাজিয়ে ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়েছেন মৌসুমি পিঠা বিক্রেতারা। সেসব দোকানে পিঠার স্বাদ নিতে ভিড় করছেন নানা বয়সীর ক্রেতারা।
পিঠার মৌসুমি এই ব্যবসা অনেক দরিদ্র মানুষের উপার্জনের পথ খুলে দিয়েছে। পিঠা বিক্রির আয়ে চলছে অনেকের সংসার। নাগরিক জীবনের নানা ব্যস্ততায় যারা ঘরে পিঠা বানিয়ে খাওয়ার সময় পান না, তারা এসব দোকান থেকে পিঠা কিনে নেন।
নগরীর জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, রিকাবীবাজার, আম্বরখানা, তালতালা, বন্দরবাজার, লালদিঘিরপার, মেন্দিবাগ, উপশহর, শিবগঞ্জ, মীরাবাজার, হুমায়ুন রশীদ চত্ত¡র, কদমতলী, বাস টার্মিনালসহ পাড়া-মহল্লার মোড়ে ভ্রাম্যমাণ দোকানে শীতের হরেক গরম-গরম পিঠা তৈরি করতে দেখা যায়। পিঠা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শীতের সময় মৈৗসুমি এসব পিঠার অন্য রকম কদর ক্রেতাদের কাছে। তবে এবার আগের থেকে জমে উঠেছে পিঠার বেচাকেনা।
সোমবার সন্ধ্যায় উপশহর ই ব্লকের প্রধান সড়কে ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে সাজিয়ে বসা পিঠার দোকানে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। এখানে কিশোর বয়সে ছেলে কালা মিয়া (১৭) ও অসুস্থ স্বামী আবির ইসলামকে নিয়ে শীতের হরেক স্বাদের পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত মা পুতুল বেগম (৪৫)। পুতুল বেগম বলেন, উপশহরের একটি কলোনিতে বসবাস করেন। চার বছর ধরে শীত মৌসুমে পিঠা বিক্রি করছেন তিনি। আগে স্বামীকে নিয়ে ভ্যানে করে পিঠার দোকান সাজিয়ে বসতেন। এখন ছেলেকে নিয়ে পিঠার ব্যবসা করেন। পিঠার ক্রেতা নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। এখানে চিতই, ভাপা ও তেলের পিঠার কদর সবচেয়ে বেশি। প্রতিটি পিঠা এখানে ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আটা, সিলিন্ডারের গ্যাসসহ প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজার টাকার পুঁজি লাগে ব্যবসায়। প্রতিদিন গড়ে আড়াই থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকার পিঠা বিক্রি হয়। খরচ বাদে গড়ে প্রতিদিন এক হাজার টাকা লাভ হয়। পিঠা বিক্রির আয়ে সংসার চলছে।
এই দোকানে পিঠা খেতে আসা ব্যবসায়ী জাবের আহমদ বলেন, শীতের সন্ধ্যায় চিতই পিঠার সঙ্গে শর্ষের ভর্তা, মরিচের ভর্তা, ধনেপাতা ভর্তার স্বাদে জিবে জল আসে। এ স্বাদের কারণেই প্রতিদিন এখানে পিঠা খেতে আসেন তিনি। ইমন নামের এক ক্রেতা বলেন, ১০ টাকায় এখানে সুস্বাদু পিঠা মিলছে। কোনো কোনো দিন খাওয়ার পর পরিবারের লোকজনদের জন্যও পিঠা কিনে নিয়ে যাই।