বিশ্বব্যাপী কমছে ধূমপায়ীর সংখ্যা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ৮:৩২:৪৬ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: বিশ্বে প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ীদের সংখ্যা কমেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রকাশিত বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যা বাড়লেও ধূমপায়ীর সংখ্যা কমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে বিশ্বে গড়ে প্রতি ৫ জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজন ধূমপান করেন। যেখানে ২০০০ সালেও প্রতি ৩ জন প্রাপ্তবয়স্কের একজন ধূমপান করতেন। ২০২২ সালে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ১২৫ কোটি মানুষ ধূমপান করতেন। অন্যদিকে, ২০০০ সালে বিশ্বের ১৩৬ কোটি মানুষ ধূমপান করতেন বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। তবে মিশর, জর্ডান এবং ইন্দোনেশিয়াসহ কয়েকটি দেশে তামাকের ব্যবহার এখনও বাড়ছে বলে ডব্লিউএইচও’র জরিপে উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ইউরোপে ধূমপায়ীদের সংখ্যা বর্তমানে সবচেয়ে বেশি এবং এই অঞ্চলগুলোতে জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ ধূমপান করে থাকে।ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ীদের মধ্যে ধূমপান ত্যাগের প্রবণতা বাড়লেও সমাজ থেকে এ সংক্রান্ত উদ্বেগ এখনও কাটেনি। কারণ অপ্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ীদের ধূমপান ত্যাগের ক্ষেত্রে তেমন কোনো সুখবর নেই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের মধ্যে গড়ে প্রায় ১০% এক বা একাধিক ধরনের তামাক ব্যবহার করে। কমপক্ষে ৩ কোটি ৭০ লাখ তরুণ-তরুণীর ১ কোটি ২০ লাখই নতুন ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত পণ্য ব্যবহার করে থাকে।
তবে ধূমপায়ীদের সংখ্যা কমতে থাকলেও ধূমপানজনিত কারণে মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমার সম্ভাবনা আপাতত নেই বলে জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ডব্লিউএইচও’র বলেছে, “তামাকজনিত মৃত্যুর হারে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের জন্য আরও সময় প্রয়োজন।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বে ধূমপান ও তামাকজনিত কারণে প্রতি বছর ৮০ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়ে থাকে। মৃতদের মধ্যে প্রায় ১৩ লাখ পরোক্ষ ধূমপায়ী। অর্থাৎ, তারা নিজেরা ধূমপান করেন না, কিন্তু ধূমপায়ীদের আশপাশে থাকার কারণে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগে মারা যান।
মার্কিন সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের মতে, ধূমপানের কারণে ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ফুসফুসের রোগ, ডায়াবেটিস এবং ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) হয়ে থাকে।