জৈন্তাপুর হাসপাতালে ছাত্রলীগের তান্ডব : গাড়িতে আগুন, অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ৭:২৭:৩৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : শুক্রবার দিবাগত রাতে সিলেটের জৈন্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রলীগের চার নেতাকর্মী নিহত হন। এ ঘটনার পর স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রীতিমতো তান্ডব চালিয়েছে। এ সময় তারা ভাঙচুর করে এ্যাম্বুলেন্স, জরুরী বিভাগের বিভিন্ন সরঞ্জামসহ হাসপাতালের আসবাবপত্র। এছাড়া কর্তব্যরত ডাক্তারকে মারধর ও হাসপাতালের গ্যারেজে থাকা একটি নতুন জিপ গাড়িও জ্বালিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে দৈনিক জালালাবাদকে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা: মোঃ সালাহ্উদ্দিন মিয়া। তিনি বলেন, গতরাতে দুর্ঘটনার পর প্রথমে দু’জনের মৃতদেহ নিয়ে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আসেন তারা। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক (ইএমও) হিল্লোল সাহা দুইজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর কিছুক্ষণ পর আরো দু’জনকে নিয়ে আসেন কয়েকজন। তবে এই দু’জনও আগে থেকেই মৃত ছিলেন। তাই আমাদের কিছুই করার ছিলো না।
টিএইচও সালাহ্উদ্দিন মিয়া দৈনিক জালালাবাদকে আরো বলেন, নেতাকর্মীদের সামনেই আমরা ইসিজি করে দেখিয়েছিলাম যে তাদের হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তারা মানতে রাজি নন। একপর্যায়ে উত্তেজিত নেতাকর্মীরা আমাদের চিকিৎসকের গায়ে হাত তুলে জরুরী বিভাগসহ হাসপাতালে ভাঙচুর শুরু করেন। এ সময় পুলিশের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশের সামনেই হামলা চালানো হয়েছে। তারা অন্তত দুই থেকে তিন শ’ লোক ছিলেন আর অল্প কয়েকজন পুলিশ তাদের কিইবা করার আছে।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাইলে ডা. মো. সালাহ্উদ্দিন মিয়া দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, দুইটি গাড়ি গ্যারেজে ছিলো। তারা গ্যারেজের তালা ভেঙে একটি এ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করে আর অপরটি সম্পূর্ণ জ্বালিয়ে দেয়। এছাড়া হাসপাতালের আসবাবপত্র ও জরুরী বিভাগের বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাঙচুর করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
হাসপাতাল ভাঙচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের বিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, নিহতের স্বজনরা আবেগের বশবর্তী হয়ে এমনটি করেছেন। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দিলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।