বেড়েছে শীতের অনুভূতি
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ৯:০৬:৫৪ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট: রোববার সিলেটে শীতের অনুভূতি আরো বেড়েছে। সিলেট বিভাগের বেশির ভাগ এলাকায় তীব্র শীতের কারণে জীবনযাত্রা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। রাত থেকে নামা ঘন কুয়াশার কারণে অনেক স্থানে যানবাহন চলাচলে সমস্যা হয়েছে। বিশেষ করে মহাসড়কে সমস্যা হয়েছে সবচেয়ে বেশি।আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ সোমবারও দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। অর্থাৎ শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে। তবে দিনে রোদ থাকতে পারে, ফলে ওই সময়ে শীত কিছুটা কমে আসবে।
শৈত্যপ্রবাহের এলাকা আরও বিস্তৃত হতে পারে। অর্থাৎ শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়া এলাকা রাজশাহী, নওগাঁ, দিনাজপুর ও মৌলভীবাজারের আশপাশেও শীতল ওই আবহাওয়া ছড়িয়ে পড়তে পারে।আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে দেশের আকাশে আবারও মেঘের আনাগোনা বাড়তে পারে। দেশের উপকূলীয় এলাকায় আবারও নামতে পারে বৃষ্টি। ওই বৃষ্টি দুই দিন থাকতে পারে। তারপর আবারও শীত বাড়তে পারে। দেশের বিভিন্ন স্থানে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।
রোববার শ্রীমঙ্গলসহ দেশের তিন স্থানে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সেই জায়গাগুলো হলো পাবনার ঈশ্বরদী, নওগাঁর বদলগাছী এবং শ্রীমঙ্গল। এ তিন স্থানে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সিলেট সিটিতে রোববার তাপমাত্রা ছিলো ১২ দশমিক ৯। আগের দিন তাপমাত্রা ছিলো ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় দিন ও রাতে যে সমান শীতের অনুভূতি ছিল, তা কিছুটা অস্বাভাবিক। শীতকালে দিনে রোদ থাকে, রাতে শীত নামে। এটাই স্বাভাবিক। আগামী কয়েক দিন এ ধরনের শীত অব্যাহত থাকতে পারে। তবে অনেক এলাকায় তাপমাত্রা কমে গিয়ে শৈত্যপ্রবাহের এলাকা বাড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদদের হিসাবে, সাধারণত জানুয়ারি হচ্ছে বছরের সবচেয়ে শীতলতম মাস। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। বছরের এ সময়টাতে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। ফলে রাতে তীব্র শীত থাকলেও দিনে রোদ ও শীত মিলেমিশে মাঝারি শীতের অনুভূতি থাকে। কিন্তু এবার রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসায় শীতের অনুভূতি বেশি। তবে মাসের বাকি দিনগুলোতে শীতের স্বাভাবিক অনুভূতি বজায় থাকবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।