আরো ৩ দিন শৈত্যপ্রবাহ, এরপর বৃষ্টি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ৯:০০:৪২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আরও ৩ দিন হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে। আর আগামী বুধবার (৩১ জানুয়ারি) থেকে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তর এমন পূর্বাভাস দিয়েছে। আজ রোববার রাত থেকে শৈত্যপ্রবাহপ্রবণ এলাকা ক্রমান্বয়ে কমতে পারে বলে জানিয়েছে দপ্তর।আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, ৩১ জানুয়ারি দেশের বেশির ভাগ স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে, যা আগামী ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলতে পারে। তবে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আরও কয়েক দিন বৃষ্টি হতে পারে।
অধিদপ্তর বলেছে, শনিবার মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে। কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মৌলভীবাজার, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার থেকে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় তেঁতুলিয়ায় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। এর আগে শুক্রবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তেঁতুলিয়ায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, উত্তরের হিমেল বাতাস আর কনকনে ঠা-ায় এখানকার জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ।গতকাল দুপুরে জেলায় সূর্যের দেখা মিললেও তা শীতের অনুভূতিকে ছাপিয়ে যেতে পারেনি। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছে জেলার নিম্ন আয়ের মানুষ। বালু ও পাথর শ্রমিকরা পড়েছেন চরম সংকটে। জীবিকার তাগিদে কেউ কেউ বরফঠাণ্ডা পানিতে নামতে পারলেও বেশির ভাগই বেকার সময় পার করছেন। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র না থাকায় খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেক দরিদ্র ও অসহায় মানুষ।