২০২৩ সালে অস্ত্র বিক্রিতে যুক্তরাষ্ট্রের রেকর্ড
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ৯:০২:২২ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : বিদেশিদের কাছে মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির হার ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে রেকর্ড ২৩৮ বিলিয়ন হয়েছে। সোমবার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের দেয়া তথ্যমতে, ইউক্রেনে অস্ত্র সহায়তা দেয়ার কারণে অনেক দেশের ভা-ারে কমতি পড়েছে। তাদের কাছেই মূলত সামরিক অস্ত্র বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র।ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, লকহেড মার্টিন, জেনারেল ডিনামিকস ও নর্থথ্রোপ গুম্যানের মতো অ্যারোস্পেস ও সামরিক অস্ত্র তৈরিকারকরা রেকর্ড পরিমাণ অস্ত্র বিক্রি করেছে। বিশ্বব্যাপী মন্দাভাবের মাঝেও যাদের শেয়ার বেড়েছে অবিশ্বাস্যভাবে।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে জানায়, বিদেশি দেশগুলোর কাছে অস্ত্র বিক্রি এবং স্থানান্তরকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবসহ মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা হয়।গত বছর সরকারিভাবে অনুমোদিত বিক্রয়ের মধ্যে রয়েছে পোল্যান্ডের কাছে ১০ বিলিয়ন মূল্যের হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (হিমারস), জার্মানির কাছে ২.৯ বিলিয়ন মূল্যের এইম-১২০সি-৮ অ্যাডভান্সড মিডিয়াম-রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল (আমরাম) এবং ন্যাশনাল অ্যাডভান্সড সারফেস। সেইসাথে ইউক্রেনের দেয়া হয়েছে এয়ার মিসাইল সিস্টেম (নাসামস)।
লকহেড মার্টিন মূলত হিমারস তৈরি করে। এর আগে তারা আরটিএক্স ও রেদন এবং আমরাম তৈরি করতো। হিমারসকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধুনিক রকেট ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষেত্রে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি বলে বদনামও রয়েছে।লকহেড মার্টিন এবং জেনারেল ডিনামিকস আশা করছে, আগামী কয়েকমাসে কয়েক হাজার আর্টিলারি রাউন্ড, শত শত প্যাট্রিয়ট মিসাইল ইন্টারসেপ্টর, এবং সাঁজোয়া যানের অর্ডার বাড়তে পারে।
সাধারণত বিদেশি দেশগুলো মার্কিন অস্ত্র কেনে দুটি উপায়ে। একটি হলো সরাসরি বাণিজ্যিকভাবে সমরাস্ত্র বিক্রয়, আরেকটি হলো কূটনৈতিক পহ্নায় সামরিক বিক্রয়। যেখানে মার্কিন সরকার সাধারণত যে দেশে অস্ত্র বিক্রি করবে তাদের রাজধানীতে মার্কিন দূতাবাসে প্রতিরক্ষা বিভাগের একজন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে।
২০২২ সালে অস্ত্র বিক্রি ১৫৩.৬ বিলিয়ন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ মার্কিন অর্থবছরে ১৫৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। যেখানে মার্কিন সরকারের মাধ্যমে কূটনৈতিক উপায়ে বিক্রি আগের বছরের তুলনায় ৫১.৯ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ২০২৩ সালে ৮০.৯ বিলিয়ন হয়েছে।