দাম নিয়ন্ত্রণে ভরা মৌসুমেও আলু আমদানির সিদ্ধান্ত
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৮:৪৪:০৯ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: দেশে এই মুহূর্তে আলুর মৌসুম চলছে। দেশের চাষিরা অপরিপক্ব আলু তুলছেন। ফলে এবার আলুর সংকট দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভরা মৌসুমেও তাই ভারত থেকে আলু আমদানির অনুমতি চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বাজারে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আবারও ভারত থেকে আলু আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।ইতিমধ্যেই দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা আলু আমদানির অনুমতি চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছেন। শুক্রবার অথবা শনিবার ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হতে পারে। আলু আমদানি শুরু হলে দেশের বাজারে আলুর দাম ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যেই থাকবে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।
হিলি স্থলবন্দরের আলু আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি নিজে টিআর চালানের মধ্যে আবেদনের ফি দিয়ে দুই হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনলাইনে আবেদন করেছি।’সূত্র জানায়, হিলি স্থলবন্দরের বেশ কয়েকজন আমদানিকারক ইতিমধ্যেই প্রায় ৩০ হাজার টনের মতো আলু আমদানির অনুমতি চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আইপি ইস্যু করা হয়নি।তিনি আরও বলেন, ‘ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হলে দেশে আলুর দাম ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যেই চলে আসবে।’
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, ‘দেশে আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার আলু আমদানির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের যে প্রধান দপ্তর খামাড়বাড়িতে আলু আমদানির অনুমতি দিতে পত্র দিয়েছে। আজ কালের মধ্যে আলু আমদানির অনুমতি (আইপি) দেওয়া শুরু হতে পারে।’সরবরাহ কমের অজুহাতে দেশে আলুর দাম বেড়ে গেলে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে গত বছরের ৩০ অক্টোবর সরকার আলু আমদানির অনুমতিপত্র (আইপি) দেয়। সেই ইমপোর্ট পারমিটের মেয়াদ ছিল গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। পরে ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ও বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানির মেয়াদের সময়সীমা ১৫ দিন বাড়িয়ে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করে সরকার। সেই হিসাবে ১৫ ডিসেম্বর থেকে বন্দর দিয়ে আলু আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।