সিলেটে বিপিএল শেষ, এবার আসছে শ্রীলঙ্কা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩০:২৫ অপরাহ্ন
স্পোর্টস রিপোর্টার : সিলেট ও রংপুরের ম্যাচের মধ্য দিয়ে শনিবার শেষ হলো এবারের বিপিএলের সিলেট পর্ব। বিপিএল উম্মাদনার পরই এবার সিলেট আসছে শ্রীলঙ্কা দল।তিন টি-টোয়েন্টি, তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্ট ম্যাচ খেলতে এবার দেশে আসছে শ্রীলঙ্কা। এই সফরে তিন ম্যাচের টিটুয়েন্টি সিরিজ ও একটি টেস্ট হবে সিলেটের নয়নাভিরাম মাঠে।এবার হতে চলেছে অভাবনীয় এক ব্যতিক্রম। মার্চ-এপ্রিলে শ্রীলঙ্কার বাংলাদেশ সফরে তিন সংস্করণের একটি ম্যাচও রাখা হয়নি ‘হোম অব ক্রিকেট’ বলে পরিচিত এই আঙিনায়। ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম হিসেবে যাত্রা শুরু শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের। এই প্রথমবার পূর্ণাঙ্গ কোনো সিরিজের একটি ম্যাচও রাখা হলো না এই মাঠে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা এখন ব্যস্ত বিপিএলে। ফ্র্যাঞ্চাইজি এই আসরের ফাইনাল আগামী ১ মার্চ। সেদিনই ঢাকায় এসে সিলেটে চলে আসবেন লঙ্কানরা।বাংলাদেশের জন্য একটি ইতিবাচক দিক, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মধ্যে থাকা দল লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথমে খেলবে এই সংস্করণেই। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের সবকটিই হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ৪ মার্চ শুরু সিরিজ। পরের দুই ম্যাচ ৬ ও ৯ মার্চ। প্রথম দুটি ম্যাচ সন্ধ্যা ৬টা থেকে, শেষটি দুপুর ৩টায়।
ওয়ানডে সিরিজ পুরোটাই হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে। ১৩ মার্চ শুরু সেই সিরিজ। পরের দুই ম্যাচ ১৫ ও ১৮ মার্চ। প্রথম দুই ম্যাচ দিন-রাতের, শুরু দুপুর আড়াইটায়। শেষটি শুরু সকাল ১০টায়।এরপর সাদা পোশাকের লড়াইয়ের জন্য দুই দল আবার আসবে সিলেটে। এখানে প্রথম টেস্ট ২২ মার্চ থেকে। দ্বিতীয় টেস্ট চট্টগ্রামে ৩০ মার্চ থেকে। টেস্ট দুটি শুরু সকাল ১০টা।
সবশেষ ২০২২ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল শ্রীলঙ্কা। সেবার ছিল শুধুই দুটি টেস্ট ম্যাচের সফর। ২০২১ সালে ছিল শুধুই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে লঙ্কানরা সবশেষ এসেছিল ২০১৮ সালে।আন্তর্জাতিক দলগুলির সফরে যে মাঠকে সবসময় সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় বরাবরই, সেই মিরপুরেই এবার কোনো ম্যাচ রাখা হয়নি।
বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফীস জানান, মূলত মেয়েদের ক্রিকেটকে বাড়তি গুরুত্ব দিতেই এবার ছেলেদের কোনো ম্যাচ রাখা হয়নি মিরপুরে। মার্চের মাঝামাঝি সময়ে অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা আসবে। তাই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ছেলেদের খেলা ঢাকায় রাখা হয়নি। মেয়েদের ক্রিকেটও ছেলেদের ক্রিকেটের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপে সরাসরি সুযোগ পাওয়ার একটা বিষয় আছে। তাই সেরা সুবিধাদি দিয়েই খেলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।