গাজার ১০ লাখ শিশু ঝুঁকিতে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৮:৪২:৩০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : গাজায় ইসরায়েল আগ্রাসন এখন পঞ্চম মাসে। যুদ্ধের ভয়াবহতা, ক্ষুধার যন্ত্রণা, ক্ষতির মাত্রা প্রতিনিয়তই বেড়ে চলেছে। এরই মাঝে ইউনিসেফ জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজার আনুমানিক ১৭ হাজার শিশু যুদ্ধের মধ্যে সঙ্গীহীন বা তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আর ভূখ-টির প্রায় সব শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা দরকার।
অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলোর জন্য ইউনিসেফের যোগাযোগ প্রধান জোনাথন ক্রিক্স শুক্রবার বলেন, শিশুদেরর মধ্যে ক্রমাগত অতি উচ্চ মাত্রার উদ্বেগ, ক্ষুধামান্দ্যের মতো বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তারা ঘুমাতে পারে না, তাদের মধ্যে আবেগে ফেটে পড়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে আর বোমার প্রতিটা শব্দে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। এই যুদ্ধ শুরুর আগেই গাজার পাঁচ লাখ শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য ও মনোসামাজিক সমর্থন প্রয়োজন বলে ইউনিসেফ বিবেচনা করছিল। আজ আমাদের হিসাবে গাজার প্রায় সব শিশুর ওই সহায়তাগুলো দরকার আর তাদের সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি।
গাজা যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যাদের মধ্যে সাড়ে ১২ হাজারের বয়স ১৮ বছরের নিচে। আরো বহু মানুষ আহত হয়েছে। যাদের অনেককে আজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করতে হবে।
যদিও গাজা যুদ্ধের প্রকৃত চিত্র পাওয়া খুবই কঠিন। তবে ইউরো-মেডিটেরানিয়ান হিউম্যান রাইটস মনিটরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ২৫ হাজারের বেশি শিশু বাবা অথবা মা অথবা বাবা-মা উভয়কেই হারিয়েছে।
৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের অবিরাম হামলা ও কঠোর অবরোধের মধ্যে ছোট্ট ফিলিস্তিনি ভূখ- গাজার সব জায়গায় ক্ষুধা ছড়িয়ে পড়েছে। এর ২৩ লাখ বাসিন্দার সবাই ক্ষুধার্ত। তারা ইসরায়েলের বিরামহীন বোমা হামলার মধ্যে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে। গত সপ্তাহে জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, ভূখ-টির অনেক এলাকা ইতোমধ্যে দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন।