পাকিস্তানের ভোটে শীর্ষ নেতাদের ভরাডুবি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৮:৫২:৫০ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : পাকিস্তানের ১৬তম জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা। ভোটগ্রহণের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ ফলাফল পাওয়া যায়নি। তবে এখন পর্যন্ত নির্বাচন ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে অনেক দলীয় প্রধান, হেভিওয়েট প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন।পাকিস্তানের শীর্ষ গণমাধ্যম জং পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে বলা হয়, এই নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের (এফ) সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমান। পরাজয় বরণ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির সিরাজুল হক।
এছাড়া পরাজিত হয়েছেন নওয়াজ শরিফের দলের বিশিষ্ট নেতা সাদ রফিক, আইপিপির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর তারিন, পিটিআই নেতা পারভেজ এলাহি, আওয়ামি ন্যাশনাল পার্টির ওলি খান, আইএনপির আমির হায়দার হুতি, শাহ হামজা কুরাইশির মেয়ে মেহেরবানু কুরাইশি, মুসলিম লিগ (এন) নেতা জাবেদ লতিফ, প্রাদেশিক মন্ত্রী গোলাম আহমদ বালুর।এদিকে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণায় বেশ দেরি হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা যাচ্ছে। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত মোট ১৫০টি আসনের ফল ঘোষণা করেছে।
বিবিসি উর্দু জানিয়েছে, বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা পর্যন্ত আসন জেতার দিক থেকে এগিয়ে আছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তারা এখন পর্যন্ত ৬২টি আসনে জয়লাভ করেছেন।বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রার্থীরা পেয়েছেন ১৯টি আসন।অন্যদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনায় থাকা নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল) এখন পর্যন্ত ১৭টি আসন পেয়েছে। বাকি সাতটি আসনে জয়যুক্ত হয়েছে নির্বাচনে অংশ নেওয়া অন্যান্য প্রার্থীরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগের নির্বাচনগুলোর তুলনায় এবার ভোট গণনায় ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যোগাযোগে গোলযোগের কারণে ভোট গণনায় দেরি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার নির্বাচনের দিন নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভোটগ্রহণ শুরুর মাত্র ১০ মিনিট আগে মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় পাকিস্তানে। কল ও ডেটা সেবা, কোনটিই সচল ছিল না। গত বুধবার হামলার ঘটনা মোবাইল পরিষেবা বন্ধের কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সেদিন পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে প্রার্থীদের কার্যালয়ে দুটি পৃথক বোমা হামলায় কমপক্ষে ২৮ জন নিহত হয়েছে।
কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল পরিষেবা বন্ধ থাকায় এখন নির্বাচনী ফলাফল আসতে দেরি হচ্ছে। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন স্থানীয় কর্মকর্তাদের প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করতে বলেছে।