২৫০ আসনের ফল : কারাবন্দী ইমরানের ভোট বিপ্লব
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৬:৪৩:১৭ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : সব প্রতিবন্ধকতা ছাপিয়ে ভোটের মাঠে ঠিকই জয়ী হলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) দলীয়ভাবে নির্বাচন করতে না পারলেও এবার দেশটির জাতীয় নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন পিটিআই–সমর্থিত প্রার্থীরা।
পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয় গত বৃহস্পতিবার। এরপর থেকে আজ শনিবার ভোররাত ৬টা পর্যন্ত ঘোষিত ফলে দেখা যাচ্ছে, এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রায় সবাই পিটিআইয়ের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন।
প্রায় ১০ মাস ধরে কারাগারে ইমরান খান। তিন মামলায় ২৪ বছর সাজা হয়েছে তাঁর। দলের প্রতীক কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দলের নেতাদের নির্বাচন করতে হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। তা–ও প্রচার–প্রচারণায় ছিল নানা প্রতিবন্ধকতা। রাজনীতিতে কঠিন সময়ের মুখোমুখি হলেও গণমানুষের প্রতি আত্মবিশ্বাস ছিল তাঁর। পাকিস্তানের জনগণও সেই প্রত্যাশার অভূতপূর্ব প্রতিদান দিয়েছেন।
নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার ৩৭ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও আজ শনিবার ভোর ৬টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ ফল ঘোষণা শেষ হয়নি।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ২৫০ আসনের প্রাথমিক ফলাফলে ইমরানের দল পিটিআইয়ের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন। আসন সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএলএন। তৃতীয় স্থানে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি।
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৬৫টি আসনের মধ্যে ২৫০ আসনের ফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯৯ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপরই পিএমএলএন ৭১ আসনে, পিপিপি ৫৩ আসনে ও এমকিউএম ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ১০টি আসন।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ২৬৫ আসনে (একটি স্থগিত) ভোট গ্রহণ হয় বৃহস্পতিবার। কোনো দলের সরকার গঠনে প্রয়োজন হবে ১৩৪ আসন।
পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ৩৩৬টি। এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। এ ছাড়া বাকি ৭০টি আসন সংরক্ষিত। এসব আসনের মধ্যে ৬০টি নারীদের ও ১০টি সংখ্যালঘুদের।