অনির্বাণ এই ফেব্রুয়ারী
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৫:৩৭:৫৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: একুশে ফেব্রুয়ারী ভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে এদেশে যে জাগরণ সৃষ্টি হয় প্রতিবছর, এমনটি বিশ্বের আর কোন দেশে দেখা যায় না। এ দিবসকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন শহর, নগর এমনকি অনেক প্রত্যন্ত এলাকায়ও বই মেলাসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। আর বই মেলাকে কেন্দ্র করে প্রচুর গ্রন্থ ম্যাগাজিন ইত্যাদি প্রকাশিত হয়, যা বছরের অন্য কোন সময় হয় না। নতুন লেখক সৃষ্টিতে একুশে ফেব্রুয়ারীর বই মেলাগুলো রাজধানীসহ দেশের সকলস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু নতুন লেখক সৃষ্টি নয়, নতুন পাঠক সৃষ্টিতেও এটা বিরাট অবদান রাখে। অবদান রাখে প্রকাশনা শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে, এগিয়ে নিতে।
দেখা গেছে, একুশে ফেব্রুয়ারী উপলক্ষে বিশেষভাবে একুশের বইমেলাকে উপলক্ষ করে এদেশে যেসব গ্রন্থ প্রকাশিত হয়, সেগুলোর মধ্যে উদীয়ান কবিদের কবিতার বইয়ের সংখ্যা অনেক। আসলে একুশে তারুণ্য ও জাগরণের প্রতীক, উদ্দীপনার শিখা। সেই স্পিরিট বা চেতনা থেকেই নবীন কবিরা এতো কবিতা লিখে কবিতার বই প্রকাশ করে। এটা একটি ইতিবাচক বিষয়। তবে এর একটি নেতিবাচক দিকও আছে। অপরিপক্ষ লেখা নিয়ে বই প্রকাশিত হলে পাঠকের কাছে এর গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। শুধু ছাপার অক্ষরে কবিতা বেরোলে কিংবা কাব্যগ্রন্থ বের করলেই ভালো কবি বা লেখক হওয়া যায় না। দীর্ঘদিনের অধ্যয়ন, অনুশীলন ও যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন শেষেই একজন লেখকের লেখা প্রকাশ বাঞ্চনীয়।