পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ এপ্রিলে
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৯:০৭:৪৫ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : আগামী এপ্রিলেই পাঠ্যবইয়ের নানা বিষয়ে সংশোধনী প্রকাশ করবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। আলোচিত শরীফ-শরীফার গল্প বইয়ে অন্তর্ভুক্ত থাকলেও পরিবর্তন করা হবে বর্ণনার ধরন। পরিবর্তন হতে পারে বিশেষায়িত শিক্ষাবোর্ডর বইয়ের প্রচ্ছদও। সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, সম অধিকারের সমাজ প্রতিষ্ঠায় পাঠ্যপুস্তকে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও লিঙ্গ নির্বিশেষে সব বৈশিষ্ট্যের মানুষের আলোচনা থাকতে হবে।
নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী বদলে গেছে গোটা শিক্ষাব্যবস্থা। দক্ষতা ও পারদর্শিতাভিত্তিক অর্জনের লক্ষ্যে পরিবর্তন এসেছে গতানুগতিক ধারার পাঠ্যপুস্তকেও। তবে বেশ কয়েকটি শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের পরীক্ষামূলক সংস্করণ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
এসব বিষয়ে সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি অংশীজনের আনুষ্ঠানিক মতামত, পরামর্শ ও সমালোচনা সংগ্রহ করেছে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের দায়িত্বে থাকা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। আলোচনা, সমালোচনা ও পর্যালোচনায় কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটি। কমিটির সুপারিশ ও প্রাপ্ত মতামতের ভিত্তিতে আগামী এপ্রিলের মধ্যে সংশোধনী প্রকাশ করবে পাঠ্যপুস্তক বোর্ড।
তবে থাকবে আলোচিত শরীফ-শরীফার গল্প। কিন্তু বর্ণনার ভঙ্গিসহ বেশকিছু বিষয়ে পরিবর্তন থাকবে।বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ‘পর্যবেক্ষণগুলো নিয়ে মার্চের শেষে আমরা একটা কর্মশালার আয়োজন করবো। সেখানে সুপারিশের ভিত্তিতে যে যে বিষয় গ্রহণ করা যায়, তা নিয়ে মার্চের শেষ বা এপ্রিলের শুরুতে স্কুলে পাঠিয়ে দেব। আর শরীফ-শরীফার গল্প বাদ দেয়া হবে না। এটা পরিমার্জন করা হবে; বাদ দেবো না।’
সমাজবিজ্ঞানী ড. তৌহিদুল হক বলছেন, পাঠ্য পুস্তক থেকে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যেন সব বৈশিষ্ট্যের মানুষের প্রতি সহনশীল আচরণের শিক্ষা পায়, সেজন্য পাঠ্যবইয়ে তৃতীয় লিঙ্গসহ সব বিষয়ের প্রাসঙ্গিক আলোচনা জরুরি।
আর মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের কয়েকটি বইয়ের প্রচ্ছদ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বলছে, সব ধারার শিক্ষাব্যবস্থার জন্য একই বিষয়বস্তু পাঠ্য করা হয়েছে; তাই সব ধরার বইয়ের প্রচ্ছদও অভিন্ন। তবে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের মতামত পেলে প্রচ্ছদের বিষয়েও নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করা হবে বলে জানিয়েছে পাঠ্যপুস্তক বোর্ড।চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘কিছু কাভার মাদরাসার জন্য না। তাদের জন্য আলাদা কাভার আছে। কিন্তু আমরা শিক্ষাকে সর্বজনীনভাবে দেখি। এখন মাদরাসা বোর্ড বললে আমরা তা পরিবর্তন করবো।’
তবে পাঠ্যপুস্তক নিয়ে গুজব না ছড়াতে এবং গুজবে কান না দেয়ার জন্য শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টেদর আহ্বান জানিয়েছে এনসিটিবি।