অনির্বাণ এই ফেব্রুয়ারী
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৫:২৯:৫০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : ভাষা আন্দোলনে প্রাদেশিক রাজধানী ঢাকা থেকে সিলেট খুব একটা পিছিয়ে ছিলোনা। সিলেটে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার দাবি সর্বপ্রথম উত্থাপন করে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের মুখপত্র আল ইসলাহ। ১৯৪৭ সালের আগস্ট সংখ্যা আল ইসলাহ-এর সম্পাদকীয় স্তম্ভে মন্তব্য করা হয়- ‘বাংলার পরিবর্তে অন্য কোনো ভাষা আমাদের রাষ্ট্রভাষা হউক ইহা আমরা কখনো সমর্থন করিতে পারি না।’ এরপর সাহিত্য সংসদ নভেম্বর মাসের ৯, ৩০ ও ডিসেম্বর মাসের ২৮ তারিখ এ ব্যাপারে তিনটি সভার আয়োজন করে যাতে শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, বহুভাষাবিদ পন্ডিত ড. সৈয়দ মুজতবা আলী এবং সংসদের সাবেক সভাপতি ও দার্শনিক দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ প্রবন্ধ উপস্থাপনার মাধ্যমে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার দাবির যৌক্তিকতা প্রদর্শন করেন।
১৯৪৮ সালের ১ জানুয়ারি সিলেট থেকে প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক নওবেলাল। এর প্রকাশক ছিলেন সাবেক আসাম প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সম্পাদক মাহমুদ আলী এবং সম্পাদক দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ। দেশে বাংলা সমর্থক কোনো দৈনিক পত্রিকা না থাকায় সাপ্তাহিক নওবেলাল ভাষা আন্দোলনের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১১ জানুয়ারি পাকিস্তান সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী সরদার আব্দুর রব সিলেট সফরে আসেন। তার কাছে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার দাবিতে সিলেট জেলা মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুস সামাদের নেতৃত্বে একটি ছাত্র প্রতিনিধিদল এবং মহিলা মুসলিম লীগের সভানেত্রী বেগম জোবেদা রহিমের নেতৃত্বে এক মহিলা প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি প্রদান করে। সে বছর ২২ ফেব্রুয়ারি বাংলাকে পূর্বপাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে জানিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী (তখনও মুখ্যমন্ত্রী চালু হয়নি) খাজা নাজিমুদ্দিনের নিকট স্মারকলিপি প্রেরণ করেন সিলেটের ১২জন মহিলা নেত্রী।