বড়লেখায় আদালতে স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার স্বামীর
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৭:০২:৪৬ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি: বড়লেখায় গৃহবধূ আছমা বেগমকে (৩০) ছুরিকাঘাতে হত্যার দায় স্বীকার করেছে লাশ উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আটক স্বামী আয়নুল ইসলাম (৫৫)। বৃহস্পতিবার দুপুরে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় সে জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দি গ্রহণের পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর ডিমাই ষাটমারপার গ্রামের মৃত রফিক উদ্দিনের মেয়ে আছমা বেগমের প্রায় ৮ বছর আগে একই এলাকার পাখি মিয়ার ছেলে আয়নুল ইসলামের সাথে দ্বিতীয় বিয়ে হয়। তাদের দুইটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। আছমা বেগমের প্রথম পক্ষের আরেকটি মেয়ে রয়েছে। নানা কারণে স্বামী আইনুল ইসলাম স্ত্রী আছমা বেগমকে সন্দেহ করতেন। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে আছমা বেগমের প্রতিবেশী মুমিন আহমদ তার (আছমা) ভাই ফখরুল ইসলাম রুবেলকে ডেকে নিয়ে জানান, আছমাকে কে বা কারা ছুরিকাঘাতে হত্যার পর জনৈক ইমাম উদ্দিনের জমিতে ফেলে গেছে। খবর পেয়ে স্বজনরা গিয়ে দেখেন আছমা জমিতে পড়ে আছে এবং তার নাড়িভূড়ি বেরিয়ে গেছে। আছমার পাশে একটি রক্তমাখা ছুরিও পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্বজনরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় নিহত আছমা বেগমের ভাই ফখরুল ইসলাম রুবেল অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা করেন। পরদিন সকালে ওসি সঞ্জয় চক্রবর্ত্তী ঘটনাস্থলে যান এবং প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত আছমার স্বামী আয়নুল ইসলামকে আটক করেন। পরে পুলিশের কাছে তিনি স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করেন।
ওসি সঞ্জয় চক্রবর্ত্তী জানান, গৃহবধূ আছমাকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে তার স্বামী আয়নুল ইসলাম। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে আয়নুল বলেছে, আপত্তিকর কর্মকান্ডের কারণে তিনি তার স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন। সন্দেহের জেরেই স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে জবানবন্দি গ্রহণের পর আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।