অনির্বাণ এই ফেব্রুয়ারী
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১১:০৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের প্রায় ৭০ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর প্রতি বছর গতানুগতিকভাবে এ সংক্রান্ত স্মৃতিচারণের চেয়ে আত্মসমালোচনা ও আত্মবিশ্লেষণ অধিক জরুরী। এই দীর্ঘ সময়ে আমরা আমাদের মাতৃভাষা বাংলার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে কতোটুকু সফলতা অর্জনে সক্ষম হয়েছি, তা মূল্যায়ণ প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক ভাষা ইংরেজীর উদ্ভব ইউরোপে হলেও বিগত দীর্ঘ সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অষ্ট্রেলিয়া এই ভাষার অবদান রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্র এ কাজে বিপুল অর্থ ব্যয় করেছে। দেশটির ভাষাবিদ অধ্যাপক ও লেখকের হাতে গত কয়েক যুগে ইংরেজীর যে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি সাধিত হয়েছে, তা অনস্বীকার্য। এ অবস্থায় অনেককে ইংরেজী ভাষার বৃটিশ ইংলিশ এবং আমেরিকান ইংলিশ হিসেবে শ্রেণীকরণ করতে দেখা যাচ্ছে। আমেরিকান ইংলিশ যেমন আধুনিক তেমনি সাবলীল ও শক্তিশালী ভাব প্রকাশে সাচ্ছন্দ।
আমাদের মাতৃভাষা বাংলা নিয়েও এমনি গবেষণা সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন সাধন করা যেতে পারে। লেখকেরা এ ব্যাপারে বেশ কাজ করলেও গবেষকদের পরিকল্পিত গবেষণা কর্মসূচী লক্ষণীয় নয়। বাংলা একাডেমীসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে তা করতে পারেন। কিন্তু এদেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ই ভাষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা কর্মে পিছিয়ে আছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরণের কোন কার্যক্রম নেই বললেই চলে। আমরা ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারীতে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি ও মনোযোগ আকর্ষণ করছি।