দেশে ম্যালওয়্যার সংক্রমণের ঘটনা বেড়েছে ৭১.৩৯
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৮:৫৪:০০ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : বাংলাদেশে ম্যালওয়্যার সংক্রমণের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এসব ম্যালওয়্যার সম্ভাব্য র্যানসমওয়্যার ঝুঁকির সঙ্গে সম্পৃক্ত।গত প্রায় এক বছরে দেশের চারটি বড় প্রতিষ্ঠান র্যানসমওয়্যার হামলার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে দুটিই সরকারি প্রতিষ্ঠান।তথ্যপ্রযুক্তি-বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাইবার নিরাপত্তায় যথেষ্ট নজর না দেওয়াসহ দক্ষতার অভাবে দেশের সাইবারজগতের ঝুঁকির বিষয়টি প্রায়ই আলোচনায় আসছে।সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের অধীন সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা সংস্থা ‘বিজিডি ই-গভ সার্ট’ বাংলাদেশে র্যানসমওয়্যারের হুমকি নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
র্যানসমওয়্যার: আ ডেটা-ড্রাইভেন থ্রেট অ্যানালাইসিস অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে ২০২২ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশে র্যানসমওয়্যারের হামলা ও সম্ভাব্য ঝুঁকি বিশ্লেষণ করা হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশে র্যানসমওয়্যার হামলা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০২৩ সালে দেশে সম্ভাব্য র্যানসমওয়্যার ঝুঁকির সঙ্গে সম্পৃক্ত ম্যালওয়্যার সংক্রমণের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ম্যালওয়্যার সংক্রমণের ঘটনা বেড়েছে প্রায় ৭১ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
র্যানসমওয়্যার হচ্ছে একধরনের ক্ষতিকর সফটওয়্যার প্রোগ্রাম বা ম্যালওয়্যার, যা কোনো কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা ডিজিটাল যন্ত্রে সংরক্ষিত তথ্যে ঢুকতে বাধা দেয়।ম্যালওয়্যার সংক্রমিত হলে যন্ত্র ‘লক’ হয়ে যেতে পারে। যন্ত্রে থাকা তথ্য চুরি করে নিতে পারে ম্যালওয়্যার ছড়ানোর পেছনে থাকা হ্যাকার বা সাইবার দুর্বৃত্তরা। তারা তথ্য হাতিয়ে নিয়ে তা মুছে ফেলতে পারে। বিশেষ চাবি দিয়ে এনক্রিপ্ট করে ফেলতে পারে। কম্পিউটারে ঢুকতে বা সেখানে রাখা তথ্য ফিরে পেতে তখন সাইবার অপরাধীরা অর্থ দাবি করে থাকে। এ জন্যই এর নাম র্যানসমওয়্যার। সাধারণত বড় কোনো প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানসহ আর্থিক খাত র্যানসমওয়্যারের লক্ষ্যবস্তু হয়ে থাকে।
বিজিডি ই-গভ সার্টের প্রতিবেদনে বাংলাদেশে র্যানসমওয়্যার হামলায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত চারটি খাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। খাতগুলো হলো আর্থিক, অ্যাভিয়েশন (উড়োজাহাজ চলাচল), ওষুধ ও শিল্প।
ক্ষতিগ্রস্ত খাতের কথা বলা হলেও র্যানসমওয়্যারের হামলার শিকার কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।
অবশ্য ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে বিজিডি ই-গভ সার্টের প্রকাশ করা ‘র্যানসমওয়্যার ল্যান্ডস্কেপ বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে র্যানসমওয়্যার হামলার শিকার প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল।