সীমাবদ্ধতা স্বত্বেও সিলেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ অনুমোদন হচ্ছে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৭:২৩:০৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, সিলেটের উন্নয়নের সরকার সবসময় আন্তরিক। মন্ত্রী বলেন, সীমাবদ্ধতা স্বত্বেও সিলেটের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ অনুমোদন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী একজন সঠিক লোককে লন্ডন থেকে এনে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমাদের দেশে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার লোকের বড়ই অভাব, এক্ষেত্রে সিলেটের মেয়র মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী একজন দায়িত্বশীল মানুষ।
মন্ত্রী গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় সাগরদীঘিরপাড় ওয়াকওয়ে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যে যাই বলুক না কেনো তাঁর সাথে আমার ব্যক্তিগত ভাবে কথা হয়েছে। কথা হওয়ার পরে আমি বুঝতে পেরেছি, একজন সঠিক ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী খোঁজে বের করেছেন। আমি মনে করি এরকম একজন লোককে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য সিলেটবাসী অনেক সৌভাগ্যবান।
তিনি বলেন, সিসিকের নির্বাচনের পর জাতীয় নির্বাচনের কারণে স্থানীয় সরকারের অধীনে কাজগুলো বন্ধ ছিল, মাত্র কাজ শুরু হয়েছে, এরই মধ্যে যেসব কাজ মেয়র মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী অনেক কাজ হাতে নিয়েছেন। এই সরকারের আমলেই আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে সিলেটে ব্যাপক উন্নয়ন করা হবে।
ওয়াকওয়ে পরিদর্শনকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সিলেট সিটি কর্পেরেশনের মেয়র মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম, সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান সহ সিসিকের কাউন্সিলর ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম শনিবার সকাল ৮টায় ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে সিলেট আসেন। এসময় তাঁকে স্বাগত জানান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সিলেট সিটি কর্পেরেশনের মেয়র মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান।
সাগরদীঘিরপাড় ওয়াকওয়ে পরিদর্শনের পরে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক স্থাপিত অক্সিজেন প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেন তিনি। অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিলো জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজিরবাজার বৈঠা খাল পরিদর্শন, নবনির্মিত কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পরিদর্শন, লালমাটিয়া ডাম্পিং গ্রাউন্ডে সিসিকের এম.আর.এফ প্ল্যান্ট পরিদর্শন ও ফলক উন্মোচন, সিসিক পরিচালিত কুমারপাড়াস্থ ওসমান মিয়া মার্চেন্ট মা ও শিশু হাসপাতালের শুভ উদ্বোধন, আরবান রেসিলিয়েন্সের আওতায় নির্মিত নগর ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার পরিদর্শন।