বাড়তে যাচ্ছে মন্ত্রিসভার কলেবর আলোচনায় আছেন যারা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৯:০১:৩৫ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : গত ১১ জানুয়ারি টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন শেখ হাসিনা। একই দিন ৩৬ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীও শপথ নেন। এর মধ্যে ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী। একাদশ জাতীয় সংসদের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ছিলেন ৪৭ জন। সেই হিসাবে মন্ত্রিসভার কলেবর বাড়তে যাচ্ছে বলে আলোচনা চলছে সর্বত্র। আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রগুলো বলছে, বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে পূর্ণ মন্ত্রী না থাকায় বাড়তে যাচ্ছে মন্ত্রসভার কলেবর।
দ্বিতীয় দফায় কারা মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন নতুন কিংবা কয়েকজন সাবেক সদস্য ও ১৪ দলের দুই একজন। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী আসন থেকেও কয়েকজন মন্ত্রীসভায় জায়গা করে নিতে পারেন। আওয়ামী লীগ সূত্রগুলো বলছে, নতুন নারী সংসদ সদস্যরা নির্বাচিত হওয়ার পর মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের কাজ সম্পন্ন করা হবে। সে হিসাবে চলতি মাসের শেষ দিকে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হতে পারে। মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন আরো কমপক্ষে ১০ জন নতুন মুখ। বর্তমান মন্ত্রী সভায় পরিকল্পনাসহ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী করা হতে পারে কয়েকজনকে। এ ছাড়া শ্রম ও সাংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব এখনো কাউকে দেওয়া হয়নি। এসব বিবেচনায় মন্ত্রী সভার আকার বাড়তে পারে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা রয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলে।
মন্ত্রিসভার কলেবর বড় হচ্ছে কী না এমন প্রশ্নের জবাবে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এটা প্রধানমন্ত্রী বলতে পারেন। তবে এখানে সময় মত কিছু জায়গায় যেমন শ্রম মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃত মন্ত্রণালয় (যেখানে এখনও মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী দেয়া হয়নি) এগুলোতে কোনো না কোনো সময় মন্ত্রী আসবে। ওবায়দুল কাদের এ প্রসঙ্গে আরো বলেন, আমার মনে হয় সংরক্ষিত মহিলা আসনগুলো আসার পরে, মন্ত্রী আসতে পারে। সেই হিসেবে এর পরে চিন্তা-ভাবনা। প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারে তিনি এটা করবেন।
আওয়ামী লীগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, নতুন মন্ত্রিসভায় কারা থাকবেন, কারা থাকবেন না সে বিষয় নিয়ে নানা রকম জল্পনা কল্পনা থাকলেও বিষয়টি একান্তই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারের বিষয়ে। প্রধানমন্ত্রী সকল বিষয় বিবেচনায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে মন্ত্রিসভায় কারা থাকতে পারেন, না পারেন এ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অনুমান রয়েছে। নানা রকম সমীকরণ মেলানো হচ্ছে। এদিকে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়েছে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগ।
দলীয় সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, আলোচনা রয়েছে- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এবার মন্ত্রী হতে পারেন। যিনি সাত বার সংসদ সদস্য হয়েছেন। এবার তিনি হুইপ হননি। সংসদীয় কোন কমিটির চেয়ারম্যানও হয়নি। কাজেই সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় তার অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ও শরিয়তপুরের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাকের নাম আলোচনায় রয়েছে। আলোচনায় রয়েছে ফেনী-২ (সদর) আসনের তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর নাম। আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে চূড়ান্ত হওয়া মুন্নুজান সুফিয়ান ও দলের কেন্দ্রীয় নেত্রী তারানা হালিমের নামও রয়েছে আলোচনায়। এই দুইজনই সাবেক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব এবং বিশ্ব ব্যাংকে বাংলাদেশের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক ড. আহমদ কায়কাউস পদত্যাগ করেছেন। ড. কায়কাউস অর্থ প্রতিমন্ত্রী হতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে বিভিন্ন সরকারি মহলে।
আওয়ামী লীগ ও সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনা রয়েছে, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হতে পারেন আওয়ামী লীগের আন্তজার্তিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ। তিনি ইতিমধ্যে দলের সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন।