ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে নমনীয় সুর ফ্রান্সের
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৯:০২:২০ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে ফ্রান্স আর বিরোধিতা করে না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি বলেন, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি ফ্রান্সের জন্য নিষিদ্ধ কিছু নয়।শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ইসরায়েলি বিরোধিতার কারণে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রচেষ্টা স্থগিত হলে প্যারিস সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ম্যাক্রোঁর মন্তব্য সম্ভবত ইসরায়েলের ওপর চাপ আরও বাড়বে বলে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মত।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমন একসময়ে এ কথা বললেন, যখন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক আহ্বানকে থোড়াই কেয়ার করে উড়িয়ে দিয়েছেন।এর আগে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছিল, তারা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টি গভীরভাবে বিবেচনা করছে। তারও আগে, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন জানিয়েছিলেন, তার দেশ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে।
তবে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করা। তিনি বলেন, ইসরায়েল স্পষ্টভাবে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে একটি স্থায়ী বন্দোবস্ত-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আহ্বানকে প্রত্যাখ্যান করে। এ ধরনের ব্যবস্থা কেবল দুই পক্ষের মধ্যে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে পৌঁছানো সম্ভব হবে এবং তা-ও হবে কোনো ধরনের পূর্বশর্ত ছাড়াই।তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে একতরফা স্বীকৃতির বিরোধিতা অব্যাহত রাখবে। ৭ অক্টোবরের গণহত্যার পরিপ্রেক্ষিতে এই ধরনের স্বীকৃতি নজিরবিহীন সন্ত্রাসবাদের জন্য একটি বিশাল পুরস্কার হিসেবে বিবেচিত হবে এবং ভবিষ্যতে কোনো ধরনের শান্তি বা মীমাংসার বিষয়টি আটকে দেবে।গাজা যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং প্রায় ৬৮ হাজার আহত হয়েছে। ১৮ লাখের বেশি মানুষ গৃহহীন ও বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালায় এবং ১২শ’র বেশি মানুষকে হত্যা করে। জিম্মি করে নিয়ে যায় আরও ২৪২ জনকে। ওই দিন থেকে পাল্টা আক্রমণে তীব্র আক্রোশে গাজার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ইসরায়েলি বাহিনী।