মিয়ানমার সংকট নিয়ে বাংলাদেশের জন্য ডোনাল্ড লুর সতর্কবার্তা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৯:০৮:৫৫ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশকে সতর্কবার্তা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বিদ্রোগী গোষ্ঠীর মধ্যে চলমান সংঘাতের কারণে বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলে গভীর নিরাপত্তা সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। সম্প্রতি ওয়াশিংটনে ‘দ্য ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি ইন অ্যাকশন: মেমোরেটিং দ্য সেকেন্ড অ্যানিভার্সারি’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে এই সতর্কবার্তা দেন ডোনাল্ড লু। ওই অনুষ্ঠানে তিনি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ইউএনবি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
ডোনাল্ড লু বলেন, ‘পরিস্থিতি ভালোর দিকে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। আমার উদ্বেগের বিষয় হল শরণার্থী সংকট ও বাংলাদেশের নিরাপত্তা ঝুঁকি। এ ছাড়া আগামী দিনে ভারতেও এই সংকট আরও গভীর হতে পারে।’কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করা এই মার্কিন সহকারী সচিব বলেন, ‘আমি মনে করি এটি এমন কিছু, যে ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’সম্প্রতি ওয়াশিংটনে ‘দ্য ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি ইন অ্যাকশন: মেমোরেটিং দ্য সেকেন্ড অ্যানিভার্সারি’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে লু বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার অংশীদারদের সক্ষম করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারতকে একে-অপরকে সহযোগিতা করতে হবে।
বাংলাদেশকে উদারতার উৎকৃষ্ট উদাহরণ উল্লেখ করে লু বলেন, ১০ লাখের অধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের উদারতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ফলে রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা করতে বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।লু বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির ‘কক্সবাজার শরণার্থী শিবিরে’ যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল আমার।’ এই শরণার্থীদের নিরাপদে নিজ দেশে ফেরাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একত্রে কাজ করার উদারতা এবং ইচ্ছার কথাও উল্লেখ করেছেন লু।
ওই অনুষ্ঠানের উপস্থাপক বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে গতিশীল এবং দ্রুত বর্ধনশীল অঞ্চল হিসেবে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির অগ্রাধিকার এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২২ সালে একটি মুক্ত এবং উন্মুক্ত অঞ্চল গড়তে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্রাটেজি চালু করে। নিরবিচ্ছিন্ন, সমৃদ্ধ, নিরাপদ এবং টেকসই সম্পর্ক গড়াও এর লক্ষ্য।
এই স্ট্র্যাটেজির মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক মাইলফলক অর্জন করতে গত দুই বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চল এবং জনগণের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে অংশীদার, মিত্র এবং বন্ধুদের সঙ্গে কাজ করছে।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ইউএস ইনস্টিটিউট অব পিস (ইউএসআইপি) ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির অর্থনৈতিক ভিত্তি, কৌশলগত জোট এবং এ পর্যন্ত অর্জিত মাইলফলক নিয়ে আলোচনার জন্য ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।