জালালাবাদ এলাকায় গভীর রাতে তুলকালাম, মেয়রের হস্তক্ষেপে আপোষে নিষ্পত্তি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৮:৪৩:৪০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: গভীর রাতে নগরীর বিমানবন্দর থানার জালালাবাদ আবাসিক এলাকায় এক আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় দুই পক্ষের মারামারিকে মসজিদের মাইকে ডাকাতি বলে ঘোষণা নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ১১ জনকে আটকও করে পুলিশ। তারা উভয়ই প্রতিবেশী এবং ব্যক্তিগত দ্বন্ধের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
শেষ পর্যায়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের হস্তক্ষেপে বিষয়টি আপোষে নিষ্পত্তি হয়েছে এবং আটককৃতদের মেয়রের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এয়ারপোর্ট থানার ওসি (তদন্ত) দেবাংশু দে। এর সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, বিষয়টি এত বড় ছিলনা। দুই প্রতিবেশীর ব্যক্তিগত দ্বন্ধকে বড় করে তোলায় পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে যায়। পরবর্তীতে মেয়র মহোদয়ের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মিমাংসা হয়েছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার দিবাগত (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে নগরীর জালালাবাদ আবাসিক এলাকায় ২২ নম্বর গলির বাসিন্দা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নানের বাসায় এই মারামারির ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, রাত দেড়টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা হান্নানের বাসার সামনে অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলার চেষ্টা চালান একদল লোক। এসময় পাড়ার মসজিদের মাইকে দুই দফা ‘জালালাবাদ ২২ নম্বর গলিতে ডাকাত ডুকেছে’ বলে প্রচার করা হয়। এসময় স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকেই বাসা থেকে বের হয়ে আসতে শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাৎক্ষণিক ১১ জনকে আটক করে। এছাড়া তিনটি মোটরসাইকেল ও কিছু দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, দক্ষিণ সুরমা থানাধীন বরইকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী মোঃ রইছ আলীর ছেলে ও জালাবাদ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মোঃ তারেক আহমদ (৪৭), মোঃ আরিফ আহমদ (৩৭), হোসেন আহমদ (৩৩) ও মোঃ সাইদ ইকবাল (৪২), নগরীর দক্ষিণ কাজলশাহ এলাকার বাসিন্দা মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে মোঃ সুহেল (৩৬), দক্ষিণ সুরমা থানাধীন বরইকান্দি এলাকার মৃত সিদ্দেক আলীর ছেলে জাবেদ আহমদ (৪২), একই এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে মোঃ ফয়জুর রহমান (৩৫), শেখ ধলা মিয়ার ছেলে মোঃ আলী রিপন (১৮), মৃত আব্দুল মুতলিবের ছেলে মোঃ হেলাল উদ্দিন (৫০), ধলা মিয়ার ছেলে ইমন আহমদ (২৯)।
ঘটনার বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান গণমাধ্যমকে বলেন, বাসায় আমার মা, স্ত্রীসহ সন্তানরা ছিল। হঠাৎ কিছু ‘ডাকাত’ এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে। আমি দরজা খুলে না দিলে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাসায় চারপাশে হামলা চালায়তবে অন্য একটি সুত্র বলছে এখানে দু’পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি আপোষে নিস্পত্তি হয়েছে।
এবিষয়ে আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুজিত চক্রবর্তী বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১১ জনকে আটক করি। পরবর্তীতে মেয়র মহোদয়ের হস্থক্ষেপে বিষয়টির সমাধান হওয়ায় আটককৃতদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।