১১ দিনেও স্পষ্ট হয়নি পাকিস্তানের পরবর্তী সরকার
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৯:১৬:৫৬ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : নির্বাচনের পর ১১দিন পেরিয়ে গেলেও কোন দল পাকিস্তানের পরবর্তী সরকার গঠন করতে যাচ্ছে, সেটি এখনও স্পষ্ট হয়নি।দেশটির সংবিধানে বলা হয়েছে, ভোটের দিন থেকে ২১ দিনের মধ্যে নতুন পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন ডাকতে হবে। সে হিসেবে, আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সরকার গঠনের সকল প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। কিন্তু একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় কোনও দল এখন পর্যন্ত সরকার গঠনের প্রক্রিয়াই শুরু করতে পারেনি। যদিও ক্ষমতায় যেতে জোট গঠনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বড় দলগুলো।
পাকিস্তানে সরকার গঠন প্রশ্নে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির মধ্যে সোমবারের বৈঠক কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবারও সর্বশেষ বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।দুই দলের সূত্র ডনকে বলছে, পিপিপির অনীহার কারণে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা দীর্ঘায়িত হতে পারে। সরকারে যোগ দিতে নিজ দলের ভেতর থেকেসহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে পিপিপি বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে।
পিটিআই পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে, তারা সরকার গঠন করতে পিএমএল-এন বা পিপিপির সঙ্গে জোট করবে না। জাতীয় পরিষদের মোট ৩৩৬ আসনের মধ্যে সরকার গঠন করতে অন্তত ১৬৯ আসন দরকার।পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেছেন, পাকিস্তান মুসলিম লিগের (পিএমএল-এন) উদাসীনতার কারণেই সরকার গঠনের প্রক্রিয়ায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় তিনি আরও বলেন, সরকার গঠনের এই অচলাবস্থা পাকিস্তানের গণতন্ত্র এবং অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সরকার গঠনে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিলে সেটি অবশ্যই ভালো হতো। পাকিস্তানের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠছে।তবে সরকার গঠনের জন্য পিপিপি তাড়াহুড়ো করবে না বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কেউ (পিএমএল-এন) যদি অবস্থান পরিবর্তন করে, তাহলে অগ্রগতি হতে পারে। তিনি আরও বলেন যে, এই নির্বাচনে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে তেহরিক-ই-ইনসাফ আত্মপ্রকাশ করেছে। কিন্তু দলটি বলছে যে, তারা কারও সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত নয়। এটি এই মুহূর্তে আরেকটি বড় সমস্যা।
মজার বিষয়, পাঞ্জাব প্রদেশের সরকারে ক্ষমতার ভাগাভাগি চাচ্ছে পিপিপি। সেখানে পিএমএল-এন সরকার গঠনের ব্যাপারে অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। পাশাপাশি পিপিপি জাতীয় পরিষদের স্পিকার, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও সিনেট চেয়ারম্যানের পদ চাচ্ছে।
পিপিপির নেতা কামার জামান কায়রা একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে বলেন, জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বসতে এখনো ৮ থেকে ৯ দিন বাকি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হবে ২ বা ৩ মার্চ। সুতরাং যুক্তসংগত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে এখনো দুই পক্ষের কাছে যথেষ্ট সময় রয়েছে।