অর্থপাচারের ৮৫ শতাংশই আমদানি-রপ্তানির আড়ালে
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৯:২০:৫৫ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : অর্থপাচারের ৮০-৮৫ শতাংশই হচ্ছে আমদানি-রপ্তানির আড়ালে। বাণিজ্যের (আমদানি-রপ্তানি) আড়ালে ব্যাংকিং চ্যানেলে ‘আন্ডার ও ওভার ইনভেয়েসের’ মাধ্যমে এসব অর্থপাচার হয়। ব্যাংক যদি এটি বন্ধে সহযোগিতা না করে তাহলে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। তবে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা ও সহযোগিতায় ১০ দেশের সঙ্গে এমওইউ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সংস্থাটির প্রধান মাসুদ বিশ্বাস।এসময় বিএফআইইউর নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম, বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগের পরিচালক সারোয়ার হোসেন, বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক কামাল হোসাইনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএফআইইউর প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, বাণিজ্যের (আমদানি-রপ্তানি) আড়ালে ব্যাংকিং চ্যানেলে আন্ডার ইনভেয়েস ও ওভার ইনভেয়েসের মাধ্যমে অর্থপাচার হচ্ছে। এর মাধ্যমে পণ্যমূল্যের চেয়ে বেশি দেখিয়ে অর্থ পরিশোধ করা হয়। এ বিপুল পরিমাণ মানিলন্ডারিংয়ের সিংহভাগ হচ্ছে ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংক যদি এটা বন্ধে সহযোগিতা না করে তাহলে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যায়। ব্যাংক যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সহযোগিতা করে তাহলে আগেই পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব।
তিনি বলেন, আমরা এখন জোর দিয়েছি অর্থপাচার আর যেন না হয়। ই-কমার্সের মাধ্যমেও পাচার হয়ে থাকে। কিন্তু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে বিএফআইউ ব্যবসার লাইসেন্স দেয় না। পাচার হয়ে যাওয়ার পর তথ্য দেওয়া হয়, তখন করার কিছু থাকে না। কারণ একবার মানিলন্ডারিং (অর্থপাচার) হয়ে গেলে তা ফেরত আনা কঠিন, ফেরত আসে না। এখানে বহু দেশ, বহু পক্ষ জড়িত থাকে। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা ও সহযোগিতার জন্য ১০ দেশের সঙ্গে এমওইউ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, এতে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন।
অর্থপাচার বন্ধে ব্যাংকগুলোর বড় ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে বিএফআইইউ প্রধান বলেন, আমদানি-রপ্তানির তথ্য যাচাই-বাছাই করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ তদারকির কারণে মানিলন্ডারিং কমছে। তবে অর্থপাচার বন্ধে ব্যাংকগুলোর বড় ভূমিকা থাকে। তারা প্রতিটি এলসি যাচাই-বাছাই করলে, তথ্য দিলে অনেকাংশেই বন্ধ হবে।