জাতিসংঘে ইসরায়েলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৭:১৫:৪২ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দেওয়া জাতিসংঘের আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) এর মতামতের বিরোধিতা করছে তাদের পরম মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার তারা বলেছে, জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতের উচিত হবে না এমন কোন পরামর্শমূলক মতামত দেওয়া, যাতে ইসরাইলকে কোন নিরাপত্তা গ্যারান্টি ছাড়াই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য প্রয়োজনীয় ভুমি থেকে “এই মুহূর্তে এবং বিনা শর্তে’’ সরে যেতে বলা হবে।
২০২২ এর ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ আইসিজেকে পূর্ব জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের অধিগ্রহণ করা সমগ্র ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে দেশটির নীতিমালা ও চর্চার আইনি পরিণাম” সম্পর্কে বাধ্যতামূলক নয় এমন ‘পরামর্শমূলক মতামত’ দেওয়ার আহ্বান জানায়।
সাধারণ পরিষদ আইসিজেকে দুটি প্রশ্ন বিবেচনায় নিতে বলেছে। প্রথমত, জাতিসংঘ বলছে, “ইসরায়েল ধারাবাহিকভাবে ফিলিস্তিনিদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেদের নেওয়ার অধিকারের লঙ্ঘন করে যাচ্ছে।” এ ক্ষেত্রে আইসিজের প্রাথমিক দায়িত্ব জাতিসংঘের এই দাবির আইনি পরিণাম যাচাই করা।
দ্বিতীয়ত, আইসিজেকে সুপারিশ করতে বলা হয়েছে, কীভাবে ইসরায়েলের পদক্ষেপে ‘অধিগ্রহণের আইনি অবস্থান প্রভাবিত হয়েছে’ এবং এতে জাতিসংঘ ও অন্যান্য দেশের ওপর কী প্রভাব পড়ছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত আইন পরামর্শক রিচার্ড ভিসেক নেদারল্যান্ডসের হেগে আইসিজের ১৫ জন বিচারকের প্যানেলকে বলেন, তাদের উচিত হবে না দশকের পর দশক ধরে চলা ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাত এক পরামর্শমূলক মতামতের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা, যেটা ‘শুধুমাত্র একটি পক্ষের, ইসরাইলের, কর্মকাণ্ডের উপর ভিত্তি করে প্রশ্নের উত্তর খুঁজবে।’
পশ্চিম তীর এবং গাজা থেকে ইসরায়েলের প্রত্যাহার নিয়ে যে কোন পদক্ষেপ ইসরাইলের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা চাহিদা বিবেচনা করে নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন।
শুনানির তৃতীয় দিনে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পক্ষে তাদের বক্তব্য দেয়। ইসরাইল ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর যেসব জমি দখল করেছে, সেখানে তাদের কর্মকাণ্ডের আইনগত ভিত্তি নিয়ে পরামর্শমূলক মতামত দেয়ার জন্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ আদালতকে অনুরোধ করেছে।