আপিলেও হারলেন শামীমা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৯:১০:৩৪ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : শামীমা বেগম ২০১৫ সালে আইএস এ যোগ দিতে সিরিয়া গিয়েছিলেন। পরে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তার ব্রিটিশ মাত্র ১৫ বছর বয়সে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিতে দেশ ছেড়ে যাওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ শামীমা বেগমের যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়ার আপিল খারিজ করেছে আদালত।শামীমা বেগম তার স্কুলের দুই বান্ধবীসহ ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়া গিয়েছিলেন। পরে আইএস উৎখাত অভিযানে আশ্রয় হারিয়ে তার ঠাঁই হয় শরণার্থী শিবিরে।
২০১৯ সালে শরণার্থী শিবিরে শামীমার খোঁজ মেলার পর তিনি দেশে ফিরতে চাইলেও নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে যুক্তরাজ্য তার নাগরিকত্ব বাতিল করে দেয় ব্রিটিশ সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন শামীমা। তার যুক্তি ছিল, যুক্তরাজ্য সরকার দঅবৈধভাবে’ তাকে রাষ্ট্রহীন করেছে এবং তার জীবনকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। তাছাড়া, যুক্তরাজ্যে ফিরতে না পারলে তার পক্ষে আইনি লড়াইও ঠিকমত চালানো সম্ভব নয়।
তার সেই আবেদন শুক্রবার নাকচ করে দিয়েছে লন্ডনের আপিল আদালত। শামীমার আইনজীবীরা যেসব যুক্তি দেখিয়েছিলেন সবই খারিজ হয়েছে।রায় দেওয়ার সময় বিচারক সু কা বলেন, ‘‘এই যুক্তি দেওয়া যেতে পারে যে, শামীমা বেগমের মামলায় দেওয়া সিদ্ধান্তটি কঠোর ছিল। এ যুক্তিও দেওয়া যেতে পারে যে, শামীমা বেগম নিজেই নিজের দুর্ভাগ্য ডেকে এনেছেন।“তবে এই দুটি বিষয়ে একমত বা দ্বিমত পোষণ করা আদালতের কাজ না। আমাদের একমাত্র কাজ হল, তার নাগরিকত্ব বাতিল করার সিদ্ধান্তটি বেআইনি ছিল কি না সেটি দেখা। সেদিকটি খতিয়ে দেখে আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, সিদ্ধান্তটি বেআইনি ছিল না। ফলে আপিল খারিজ করা হল।”
আদালতের এ রায়ের ফলে শামীমাকে এখন সিরিয়াতেই থাকতে হবে। তিনি যুক্তরাজ্যে ফেরার সুযোগ পাবেন না। যুক্তরাজ্য সরকার আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, “যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা বজায় রাখাই আমাদের অগ্রধিকার। এর অনুকূলে যাওয়া যে কোনও সিদ্ধান্তকেই আমরা দৃঢ় সমর্থন দেব।”