সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার শর্তে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের প্রস্তাব
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৮:১০:৪৬ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ), আরাকান আর্মির (এএ) ও জাতিগত সশস্ত্র সংগঠনগুলোর (ইএও) বিদ্রোহীরা গত চার দিনে জান্তা বাহিনীর আরও ঘাঁটি দখল করেছে। দেশজুড়ে বিদ্রোহীরা অব্যাহতভাবে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে অনেকটাই কোণঠাষায় পড়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবার সেনাবাহিনীতে যোগ দিলে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার। খবর ইরাবতি।
রাখাইনের অধিকারকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জান্তা বাহিনী জানিয়েছে, যেসব রোহিঙ্গা পুরুষ সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন তাদের এক বস্তা চাউল, নাগরিকত্বের একটি পরিচয়পত্র এবং মাসিক ১ লাখ ১৫ হাজার কিয়াট বেতন দেয়া হবে। যা বাংলাদেশী অর্থে সাড়ে চার হাজার টাকার সমান।
তবে সাধারণ রোহিঙ্গাদের প্রলুব্ধ করতে না পেরে এখন জোরপূর্বক তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। যাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাদের রাজধানী সিত্তেতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং সেখানে দুই সপ্তাহের সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০০ রোহিঙ্গা পুরুষকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তাদের দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে।
ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নে সান বলেছেন, ‘প্রশিক্ষণের সময় মাত্র দুই সপ্তাহ। যাদের দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাদের জান্তা বাহিনী শুধুমাত্র মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে।এরমধ্যে সিত্তের এবং বুচিডংয়ের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ৪০০ জনকে প্রশিক্ষণের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
ইরাবতি জানিয়েছে, জান্তা বাহিনী ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী সকলের তালিকা তৈরির জন্য বুচিডং, মংডু এবং সিত্তের গ্রাম প্রশাসক ও নেতাদের চাপ দিয়েছে। এরমধ্যে ছোট গ্রাম থেকে অন্তত ৫০ জন, বড় গ্রাম ও প্রতিটি শরণার্থী ক্যাম্প থেকে অন্তত ১০০ জনের তালিকা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।