সিলেটে রোজার আমেজ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৯:৩০:০৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: শবে বরাত উপলক্ষে সোমবার সরকারি ছুটি। ফলে খুলেনি কোনো অফিস আদালত। আগেরদিন ইবাদত বন্দেগির মধ্যে দিয়ে কাটানোর রেওয়াজ হিসেবে পরদিন বন্ধ থাকে অধিকাংশ দোকানপাঠ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিপনীবিতান। খুব প্রয়োজন না হলে শবে বরাতের পরদিন বের হন না লোকজন। ফলে সোমবার সিলেটে অনেকটা রোজার আমেজ বিরাজ করছিল।
ঝকঝকে উজ্জ্বল রোদে চকচক করছিল রাস্তাঘাট, ফুটপাত। কিন্তু রাস্তাঘাটে ছিল না অন্যদিনের মতো যানবাহন, ফুটপাতে ছিল না পথচারী কিংবা হকারদের দখল রাজত্ব। শবে বরাতের পরদিন অনেকেই রোজা রেখে থাকেন। সেই আমেজই বিরাজ করছিল সর্বত্র। দোকানপাঠের পাশাপাশি খুলেনি বেশিরভাগ খাবার দোকান ও রেস্টুরেন্ট। দুপুরের পর থেকে ধীরে ধীরে খাবার দোকানে শাটার উঠলেও কোনো বিক্রি হয়নি সেগুলোতে। তারা ব্যস্ত ছিলেন সন্ধ্যার ইফতার আয়োজন নিয়ে।
নগরীর জল্লারপার পয়েন্টে ভাইবোন ¯েœকবারে দুপুরের দিকে দেখা যায় দোকান খুলে বিক্রেতা খোকন মিয়া বসে আছেন। অন্যদিন সকাল থেকে সিঙারা, সমুচা, আলুচপ, ভুনা খিচুড়ির আয়োজন থাকলেও এদিন তার কিছুই তখনও করেননি। কারিগরদের দেখা যায় সন্ধ্যার ইফতারির আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। খোকন বলেন আগের দিন শবে বরাত থাকায় গভীর রাত পর্যন্ত দোকান খোলা ছিল। পরদিন বেশিরভাগ লোক রোজা থাকেন এবং সিলেটের বাইরে থেকেও বেড়াতে আসা লোকাজন কম থাকে, তাছাড়া মার্কেট দোকান বন্ধ থাকায় ক্রেতার সংখ্যার কম থাকে, তাই অন্যদিনের মতো সকালে দোকান খুলেননি। এখন ইফতারির আয়োজন করছেন। বিকালের দিকে তা বিক্রি শুরু হবে।
তবে পাড়ার দোকান ছাড়া বিভিন্ন মার্কেট নির্ভর খাবারের দোকান এবং অন্যান্য দোকানপাঠ বন্ধ ছিল। রাস্তার পাশের দু একটি দোকান দুপুরের পর খুললেও ক্রেতাশূণ্য ছিল এসব দোকান। নগরীর জিন্দাবাজারের থান কাপড়ের ব্যবসায়ী মাসুম আহমদ বলেন শবে বরাতের পরদিন মার্কেট দোকান বন্ধ থাকে, ক্রেতারারও আসেন না। আমাদের দোকান মার্কেটের বাইরের দিকে থাকায় দুপুরের পর খুলেছি। শবে বরাতের রোজা রেখেছি, দোকানেই ইফতার করবো। ইফতার শেষে দোকান লাগিয়ে চলে যাবো। বিকেল পর্যন্ত কোনো বিক্রি হয়নি।